আখে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরাআখে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা

নিউজ ডেস্কঃ
অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ধান ও সবজি চাষ করে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চাষিরা। এ পরিস্থিতিতে চাষিরা বিকল্প হিসেবে আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এর মাধ্যমে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী বলেশ্বর নদীর চর এলাকার জমিতে এ বছর ব্যাপকভাবে আখের আবাদ করা হয়েছে। চাষিরা রাত-দিন খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানকার জমিতে গ্যান্ডারি, তুরপিন জাতের আখের চাষ করা হয়েছে। অনেকে আখ বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। এ বছর বাজার দর ভালো থাকায় খুশি চাষিরা। অতি বৃষ্টির কারণে কিছু খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি সারিয়ে তোলার চেষ্টায় অনেকে ব্যস্ত।

আখ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় এটি চাষের মাধ্যমে অতীতের লোকসান কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে চাষিদের অনেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

উপজেলার চরডাকাতিয়া গ্রামের আখচাষি শচিন বালা, স্বপন মজুমদার, মিলন হীরা, হিরক মণ্ডল, কিরণ মণ্ডল জানান, ধান-সবজি চাষ করে প্রতি বছর লোকসান গুনতে হয়। বিকল্প হিসেবে আখ চাষ অনেক লাভজনক।

তারা আরো জানান, চরের জমিতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আখ খেত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় সে দুশ্চিন্তা অনেকটা দূর হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ বছর চর এলাকার জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। আখ একটি লাভজনক ফসল। ফলন ভালো হলে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৭-৮ লাখ টাকার আখ বিক্রি করা সম্ভব। এটি চাষের মাধ্যমে চাষিরা লাভবান হতে পারেন।
সুত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *