নিউজ ডেস্কঃ
শরিয়তপুর জেলার শস্য ভান্ডারখ্যাত জাজিরা উপজেলার কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আগাম শীতকালীন সবজি চাষ ও পরিচর্যার কাজে। আগাম সবজি আবাদে তুলনামুলক বেশি দাম পাওয়া যায় বলে জাজিরার কিছু কিছু অঞ্জলের কৃষকরা প্রতি বছরই আবাদ করে থাকেন। এবার উপর্যপুরি ও দীর্ঘায়িত বন্যার ফলে গত বছরের তুলনায় ২০-২৫ দিন বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বন্যার পানি জমি থেকে নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই বেশি দাম পাওয়ার আশায় আগাম শীতকালিন সবজি আবাদ করেছেন জাজিরার কৃষকরা। আবহাওয়া অনকূলে থাকায় এবং সার-বীজসহ কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হওয়ায় সবজির চারার অবস্থা অনেকটাই সতেজ আছে বলে জানান কৃষকরা। তাই কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি না হলে ভালো ফলন ও বেশি লাভের আশা করছেন কৃষক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
জাজিরা উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের মিরাসার গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন বেপারী বলেন, আমরা প্রতি বছরই বেশি দাম পাই বলে শীতকালীন আগাম সবজি আবাদ করি। বিঘাপ্রতি বেগুন, শশা ও করলা আবাদে আমাদের ২৫-৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি বিক্রি হয় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। সার ও বীজ সহজলভ্য হওয়ায় ও আবহাওয়া ভালো থাকায় সবজির চারার অবস্থা খুবই ভালো মনে হচ্ছে। কোন প্রাকৃতিক সমস্যা না হলে ভালো ফলনের আশা করছি। ফলন ভালো হলে বন্যার কারণে যে বিলম্ব হয়েছে তাতে আমাদের কোন অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে না।
জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জামাল হোসেন জানান, এ বছর জাজিরা উপজেলায় ১ হাজার ৭শ’ ১০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় ৬’শ ৫০ হেক্টরে আগাম শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লাল শাক, বেগুন, করলা, শশা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনে পাতা, সীম, ধুন্ধলসহ নানা জাতের সবজি।
কৃষকদের সবজি আবাদে বিভিন্ন পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক মাঠে আছেন। তবে উপর্যপুরি বন্যার কারণে এ মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজি আবাদে কিছুটা বিলম্ব হলেও মাঠে বিভিন্ন সবজির বর্তমান অবস্থা ভালো থাকায় এবারও কৃষকরা লাভবান হবে বলে আমরা আশাবাদি।