মাহমুদুল হাসান রুবেলঃ পেয়াজ একটি মসলা ও সবজি জাতীয় উদ্যান ফসল। বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ২৫ -২৬ লক্ষ মেট্রিক টন পেয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে। তাছাড়া ভারত থেকে সাড়া বছরই বিপুল পরিমান পেয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। গতবছর থেকে ভারত প্রতি সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। তাদের অভ্যন্তরীন চাহিদার যোগান স্বাভাবিক রাখতে এমন পদক্ষেপ নেয় ভারত সরকার।
তবে এতো পেয়াজ কি হয়? সবই কি আমরা তরকারির কাজে ব্যয় করছি? না উত্তরটা একদমই সরল, দেশের এবং আমদানি যোগানের বিশ শতাংশ ব্যয় হয় তরকারিতে আর আশি শতাংশ পেয়াজ ই খরচ হচ্ছে হোটেল রেস্তুরায় ফার্স্ট ফুড তৈরি ও পরিবেশনের সালাদ হিসেবে। দেশে বছরের শেষের দিকে গত দুই বছর যাবৎ পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ফাস্ট ফুডের তুমুল আগ্রহটাও সারা দেশে বিধ্যমান।
যদি আমরা স্বাস্থ্য সচেতনতা সরূপ ফার্স্ট ফুডের চাহিদা কমিয়ে ফেলি এবং পরিবেশনে পেয়াজের পরিবর্তে সিজনালি শশা, পেপে, গাজর কিংবা মূলার ব্যবহার করা হয় তাহলে মোট চাহিদার বিশাল একটা অংশ বেচে যাবে।বর্তমান পরিস্থিতিতে পেয়াজের বিকল্প দিয়েই সালাদ পরিবেশন হচ্ছে। এটি সারা বছর ধরে রাখলেই আমাদের আর আমদানি নির্ভর হওয়া লাগবেনা।
তাছাড়া যখন স্বাভাবিক সিজনালি আমদানি হয়ে থাকে তখন দেশীয় পেয়াজ বাজারে অধিক সরবারহ না করলে সহজেই আমরা আত্ন নির্ভরশীল হতে পারবো।