নিউজ ডেস্কঃ
আমদানি বিকল্প ফসল চাষে ঋণ বাড়াতে চায় কৃষক। তবে এক্ষেত্রে তাদের প্রধান দুটি বাধা রয়েছে। প্রথমত, এ ঋণে টাকার পরিমাণ কম। অন্যদিকে ঋণের উচ্চ সুদহার। ৭৫ শতাংশ কৃষক মনে করেন, এ ধরনের ঋণের অঙ্ক বাড়াতে হবে। সম্প্রতি ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালিত এক জরিপ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আমদানি বিকল্প ফসল চাষে তুলনামূলক বেশি ঋণ বিতরণ হয়েছে— এমন ২৩টি জেলা বেছে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব জেলার বিভিন্ন ব্যাংকের ৫৬টি শাখার মোট ৫৩৫ জন ঋণগ্রহীতা কৃষকের ওপর জরিপ চালানো হয়।
জরিপে ৭৫ শতাংশ কৃষক মনে করেন, ডাল, তৈলবীজ, মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা চাষে চলমান ঋণের পরিমাণ খুবই কম। পাশাপাশি তাদের দেয়া এসব ঋণের বিপরীতে সুদহার বেশি।
২০১০-১১ অর্থবছর থেকে সরকারের সুদ ভর্তুকির আওতায় এসব আমদানি বিকল্প ফসল চাষে ঋণ দিয়ে আসছে সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ঋণ বিতরণের শুরুর দিকে কয়েক বছর এর সুদহার ছিল ২ শতাংশ। পরে তা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হয়। অন্যদিকে কৃষি ঋণের সুদহার গ্রাহক পর্যায়ে ৯ শতাংশ থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে আগামী জুন পর্যন্ত সব ধরনের শস্য ও ফসল চাষে ঋণের সুদহার ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
সার্বিক বিষয় বিবেচনায় এনে আমদানি বিকল্প ফসল চাষ, অর্থাৎ বিশেষ কৃষিঋণে সুদহার কমিয়ে ২ বা ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই জরিপ প্রতিবেদনে।
আমদানি বিকল্প ফসল চাষে তুলনামূলক বেশি ঋণ বিতরণ হয়েছে— এমন ২৩টি জেলা নির্বাচন করে জরিপ পরিচালনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) ড. হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে মাঠ পর্যায়ে তিনটি টিমে মোট নয়জন কর্মকর্তা জরিপ পরিচালনা করেন।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) রোকেয়া খাতুনের নেতৃত্বে একটি টিম পরিচালিত হয়। এ টিমে ছিলেন ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক (জেডি) রেজওয়ানুল হক ও আসমা আক্তার। দ্বিতীয় টিমে ছিলেন উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে যুগ্ম পরিচালক (জেডি) রুবেল ইসলাম ও আতাউর রহমান। আর তৃতীয় টিমে ছিলেন যুগ্ম পরিচালক (জেডি) সামির আশরাফের নেতৃত্বে উপ-পরিচালক (ডিডি) হাসান চিশতী ও নাজমুল হুদা।
সুত্রঃ জাগো নিউজ