আমে কীভাবে ফ্রুট ব্যাগিং করবেন সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস। সংস্থাটি বলছে, ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি বলতে ফল গাছে থাকা অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা বয়সে বিশেষ ধরনের ব্যাগ দ্বারা ফলকে আবৃত করাকে বুঝায়। ব্যাগিং করার পর থেকে ফল সংগ্রহ করা পর্যন্ত গাছেই লাগানো থাকে ব্যাগটি। আমের জন্য দুই ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। রঙিন আমের জন্য সাদা ব্যাগ আর অন্যান্য জাতের জন্য বাদামি রঙের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। সুতরাং নির্দিষ্ট জাতের জন্য নির্দিষ্ট ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
১. নিরাপদ, বিষমুক্ত ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের একমাত্র উপায়।
২. বালাইনাশক ব্যবহার ছাড়াই শতভাগ রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণমুক্ত আম পাওয়া সম্ভব। ব্যাগিং করলে বালাইনাশকের ব্যবহার কমবে ৭০-৮০ ভাগ।
৩. যে কোনো জাতের আমের ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও হলুদাভ করা যায় এবং আমের সংরক্ষণ কাল বাড়ানো যায়, যা রপ্তানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ (সংরক্ষণকাল জাতভেদে ১০-১৪ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে)।
আমের প্রাকৃতিকভাবে ঝরা বন্ধ হলেই ব্যাগিং শুরু করতে হবে। বারি আম-১. গোপালভোগ, খিরসাপাত, ল্যাংড়া, বারি আম-২, বারি আম-৬ এবং বারি আম-৭ জাতের ক্ষেত্রে ব্যাগিং করা হয় ৩৫-৫৫ দিন বয়সে। এই সময়ে আম জাত ভেদে মার্বেল আকারের বা এর চেয়ে বড় হয়ে থাকে। তবে বারি আম-৩, বারি আম-৪, বারি আম-৮, ফজলি, হাঁড়িভাঙ্গা, আশ্বিনা এবং গৌড়মতি আমের ক্ষেত্রে গুটির বয়স ৬০-৬৫ দিন হলে ব্যাগিং করা যাবে।
১. নির্দিষ্ট সময়ে ফ্রুট ব্যাগিং করতে হবে।
২. ব্যাগিং করার আগে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক একত্রে মিশিয়ে শুধুমাত্র ফলে স্প্রে করতে হবে।
৩. ব্যাগিং করার কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা আগে স্প্রে করতে হবে। তবে স্প্রে করার পরের দিনও ব্যাগিং করা যাবে যদি বৃষ্টিপাত না হয়, ফল ভেজা অবস্থায় ব্যাগিং করা উচিত নয় অর্থাৎ রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে ব্যাগিং করা ভালো।
৪. দুটি আম একত্রে থাকলে একসঙ্গে ব্যাগিং করা যাবে তবে বড় জাতের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে ব্যাগিং করতে হবে।
দুই স্তর বিশিষ্ট বাদামী ব্যাগ ব্যবহার করে যে কোনো আমকে হলুদ বর্ণের করা যায়। তবে রঙিন আমে এক স্তর বিশিষ্ট সাদা ব্যাগ ব্যবহার করতে হয়। নাবীজাতের আশ্বিনা আম ১০০ ভাগ মাছি পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যায়। যা ব্যাগিং করে রোধ করা সম্ভব।