নিউজ ডেস্কঃ
আলুর ফলন ভালো হলেও দাম কম হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন আলু চাষিরা। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম কম থাকায় বিক্রি না করে জমি থেকে আলু উত্তোলন করে কোল্ডস্টোরে রেখে দিচ্ছেন অনেক কৃষক। আলুর বীজ ও সারের দাম বেশি দিয়ে আলু রোপণ করতে হয়েছে। আর খরচের তুলনায় বাজারে আলুর দাম না অনেক কম হওয়ায় সাধারণ কৃষকরা লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন।
এদিকে আলুর ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটলেও বাজারে গিয়ে আলুর দাম দেখে হতাশার মধ্যে রয়েছেন। লাভের আশায় আলু রোপণ করে উত্তোলনের পর আলুর বাজার কম হওয়ায় আলু চাষিদের মাথায় হাত। এতে করে আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। আর বীজের তুলনায় আলুর বাজার কম হলে সামনে আলু চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে সাধারণ কৃষকরা।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ও আলীরটেক ইউনিয়নের কয়েক এলাকায় আলু উত্তোলনের সময় কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপকালে তারা জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সাথে তাদের ক্ষোভের কথা জানান।
আলু চাষি বাচ্চু মিয়া জাগো নিউজকে জানান, বহু বছর ধরে আলু চাষ করে আসছি। গত ১০ বছরে আলু চাষ করে তেমন দাম পাইনি। গত দুই বছর আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পাই। এ বছর লাভের আশায় ২৫ থেকে ৩০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করি।
কিন্তু আলু চাষের সময় আলুর বীজ ও সারের দাম অনেক বেশি ছিল। আর উত্তোলনের পর আলুর বাজার কম হওয়ায় এবার আলু চাষ করে অনেক লোকসান হবে। এভাবে যদি প্রতি বছর আলু করে লোকসান হয় তাহলে সামনে আলু চাষ থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই কৃষকদের বাঁচাতে হলে সরকারের ভালো উদ্যোগ নিতে হবে। বীজ ও সারের দাম কমাতে হবে। কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে হবে। আর কৃষকরা যেন চাষ করে লোকসান যাতে না হয় সেদিকেও সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আলু চাষি জয়নাল আবেদীন জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর আলুর ফলন হলেও আলুর বাজার কম হওয়ায় আলু চাষিদের মাথায় হাত। গত বছর আলু বাজার ভালো হওয়ায় বেশ লাভ হয়েছে। কিন্তু এ বছর আলু চাষ করতে গিয়ে বীজ ও সারের দাম অনেক বেশি হওয়ায় খরচ বেশি পড়ে। খরচের তুলনায় বিক্রি করার সময় দাম না পাইলে হতাশা ছাড়া আর কিছুই নেই।
এবার চাষে কয়েক লাখ টাকা লোকসান হবে। আলু চাষিদের এবার বেহাল অবস্থা। কৃষকদের বাঁচাতে পারে শুধু মাত্র সরকার। বীজ ও সারের দাম কমাতে হবে। আমরাও চাই সব সময় আলুর দাম কম থাকুক। জনগণ কম দামে আলু কিনে খাক সেটাও আমরা চাই।
সুত্রঃ জাগো নিউজ