নিউজ ডেস্কঃ
সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে, বাজারেও ভরপুর। এ কারণে বাজারে এই রুপালি মাছের দামও কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন রাজধানীর বিক্রেতারা।
তবে নদী-হাওর, খাল-বিলে পানি বেশি থাকায় দেশী মাছ কম ধরা পড়ছে বলে এ জাতীয় মাছের দাম বেশ চড়া বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, শান্তিনগর, শাহজাহানপুর, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া যায়। বিডি নিউজ।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, এই সপ্তাহে বাজারে বড় ইলিশের বেশ সমাগম দেখা যাচ্ছে। দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশসহ ছোট-বড় ইলিশে বাজার ভরপুর। আগের তুলনায় দামও কম।
মালিবাগ বাজারের মাছ বিক্রেতা মো: শাহ আলম বলেন, বিশেষ করে চট্টগ্রামে এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। যে কারণে ঢাকার পাইকারি মাছ বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ইলিশের আমদানি রয়েছে। আগের তুলনায় দামও কম।
তিন জানান, দেড় থেকে পৌনে দুই কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকায়, ৪০০-৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি।
মালিবাগ বাজার থেকে ইলিশ কেনার পর স্থানীয় ফরিদুল ইসলাম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এবার বড় ইলিশ বাজারে উঠেছে বেশি। দেড় কেজি ওজনের দুইটা ইলিশ কিনলাম সাড়ে তিন হাজার টাকায়।
অন্যান্য সময়ে এত বড় ইলিশ কমই পাওয়া যায়। আগে বড় সাইজের তিন কেজি ইলিশ কিনতে চার হাজার টাকারও বেশি দিতে হয়েছে।
রামপুরা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জানান, বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকায় দামও কম। তবে দেশী মাছের দাম বেশি।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখনো বন্যা অব্যাহত আছে। নদী, খাল, হাওরে পানি বেশি, যে কারণে জেলের জালে দেশী মাছ কম ধরা পড়ছে। বাজারে দেশী মাছ কম। এই কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে।
তিনি জানান, বোয়াল মাছ সাড়ে ৭০০ টাকা থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৯০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা, টেংরা ৭০০ টাকা, আইড়, চিতল, বেলে মাছ আকারভেদে ৭০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে চাষের মাছের দাম কিছুটা কম জানিয়ে সাইদুল বলেন, চাষের চিংড়ি ৭০০ টাকা থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা, রুই ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা, টেংরা সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা, পাবদা সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সুত্রঃ নয়া দিগন্ত