নিউজ ডেস্কঃ
করোনা মহামারিতে কৃষিখাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনার ঋণের অর্ধেকও বিতরণ হয়নি। বেশিরভাগ বেসরকারি ব্যাংকই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিতরণ করেছে ১০ শতাংশেরও নিচে। কারণ হিসেবে ব্যাংকগুলো বন্যাসহ নানা অজুহাত তুলে ধরলেও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কম মুনাফার কারণেই অনীহা ব্যাংকগুলোর। ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণ বিতরণে ব্যর্থ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কড়া বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চলতিবছর মার্চে দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর টানা দুমাসের বেশি চলা সাধারণ ছুটিতে স্থবির হয়ে পড়ে অর্থনীতি। সঙ্কট মোকাবেলায় অন্যান্য খাতের মত ভর্তুকি সুদে কৃষিতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রনোদনা ঋণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। ঋণ বিতরণে ৪৩ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেও ২০টি ব্যাংক বিতরণ করেছে দশ শতাংশের নিচে। যার মধ্যে দুটি ব্যাংক এক টাকাও কৃষিঋণ দেয়নি।
এসবিএসি ব্যাংক এমডি তারিকুল ইসলাম বলেন, করোনার আঘাতে অর্থ বছরের শেষের দিকে বিতরণ কমে যাওয়ায় কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেশি থাকে, প্রসেসিং চার্জ ও সুদ আয়ও তুলনামূলক কম। তাই এক্ষেত্রে এজেন্ট ব্যাংককে কাজে লাগানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদের।
অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, একদিকে গ্রাম এলাকায় ব্যাংকের শাখা না থাকা, অন্যদিকে কৃষিঋণ বিতরণ করে লাভের সম্ভাবনা কম থাকায় ব্যহত হচ্ছে।
কৃষিঋণ বিতরণের নাজুক পরিস্থিতিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণ বিতরণ জোরদারে ব্যাংকগুলোকে কড়া বার্তায় চিঠিও দিয়েছে ।
বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যখন চিঠি আকারে কোন নির্দেশনা দেয় সেটা পালন করা অবশ্যই আবশ্যক।
বিতরণ প্রক্রিয়াকে সহজ করতে মৎস, ডেইরি, পোল্ট্রির মত কৃষির উপ-খাতগুলোতে নির্দিষ্ট ঋণসীমার বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সুত্রঃ সময় নিউজ