এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশে কৃষির কোনও বিকল্প নেই: কৃষিমন্ত্রীএসডিজি অর্জনে বাংলাদেশে কৃষির কোনও বিকল্প নেই: কৃষিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশের জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে কৃষিখাতে উন্নয়নের কোনও বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান শতকরা হারের হিসেবে আগের তুলনায় কমলেও, এর গুরুত্ব কমেনি । দারিদ্র বিমোচন এবং সকলের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষির অবদান অতীতে ছিলো, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

বুধবার (২১শে অক্টোবর ২০২০) এগ্রিকালচারাল রিপোর্টার্স ফোরাম (এআরএফ) আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি। “বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে কৃষির ভূমিকা” শীর্ষক এ ওয়েবিনারে গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কৃষি সচিব জনাব আনোয়ার ফারুক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এআরএফ-এর সভাপতি মো. আশরাফ আলি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক ফয়জুল সিদ্দিকি এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মাকসুদুল হাসান।

বৈশ্বিক কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রভাবে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনে পিছিয়ে পড়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। অতিমারীর মধ্যেও বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ব্যহত হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

আলুর বাজার মূল্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পান সে বিষয়ে সরকার সচেতন, তাই আলুর দাম কেজি প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু মুনাফালোভী মধ্যস্বত্তভোগী ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছেন। ভোক্তা ও বাজার ব্যবস্থার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করতে হিমাগার ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

গেষ্ট অফ অনারের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ বলেন, কৃষিখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। স্বাধীনতার পরে সাত কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেখানে অসম্ভব ছিলো, সেখানে এখন ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। কোভিড-১৯ অতিমারীর কারনে কৃষিখাত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের কারনে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক কৃষি সচিব মো. আনোয়ার ফারুক বলেন, গত দশ বছরে কৃষিখাতে অবিস্মরণীয় উত্তরন ঘটেছে । কৃষির আধুনিকীকরণ, গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাত সৃষ্টিসহ নানামূখী সফলতা রয়েছে বর্তমান সরকারের। কিন্তু দুর্বল বাজার ব্যবস্থার কারনে সেই সাফল্য কিছুটা ম্লান হয়েছে। তাই এখন কৃষির বাজার ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য আরো কাজ করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওয়েবিনারে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের এসডিজি বিষয়ক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)-এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)-এর মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কাউন্সিল (বিএডিসি)-এর চেয়ারম্যান মোঃ সায়েদুল ইসলাম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল মুঈদ।

সুত্রঃ এগ্রি ভিউ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *