কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে দেশে খাদ্য সংকট হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে মাঠে ধানের অবস্থা ভাল। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৯০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) ইরির এশিয়া প্রতিনিধি নাফিস মিয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
ইরির এশিয়া প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী জানান, লবণাক্ততা ও খরাসহ বিভিন্ন ঘাতসহনশীল (স্ট্রেস টলারেন্ট) ধানের জাত উদ্ভাবন ও গবেষণায় বাংলাদেশকে আরো বেশি করে সহযোগিতা করবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)। এছাড়া, ভারতের বারানসিতে অবস্থিত ইরি দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অফিসে স্থাপিত বিশ্বমানের গবেষণাগারে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা দ্রুত ধানের জাত উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে লবণাক্ততা ও খরাসহ বিভিন্ন ঘাতসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের বিজ্ঞানীরা উন্নতমানের অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছে।
ইরির প্রতিনিধিদল বৈঠকে বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়ে জানতে চান ও রিলিজের অনুরোধ জানান। দেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়টি বর্তমানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন আছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়ে পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের আপত্তি রয়েছে।
২০২৩ সালে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ধান সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করা হবে বলে জানান ইরির এশিয়া প্রতিনিধি নাফিস মিয়া।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর ও ইরির বাংলাদেশ প্রতিনিধি হোমনাথ ভান্ডারি ।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, হাওরে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে আগাম বন্যায় প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সময়মতো বাঁধ রক্ষা, অনুকূল আবহাওয়া ও যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটার ফলে এরইমধ্যে হাওরের ধান ঘরে তোলা গেছে।
সরিষার আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কাজ চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
সুত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ