নিউজ ডেস্কঃ
চলতি বছর কক্সবাজার জেলায় সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে স্থানীয় বাজারে এই অঞ্চলের সুপারির ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় এ বছর ২৪০ কোটি টাকার সুপারি বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশপাশি সুপারি চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই সুপারি চাষে ঝুঁকে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রমতে জেলার আট উপজেলায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে চাষের বিপরীতে চলতি বছর সুপারি উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিকটন। যার মধ্যে টেকনাফে এক হাজার ২৬০ হেক্টর, উখিয়ায় ৯৭০ হেক্টর, কক্সবাজার সদরে ৬৭৫ হেক্টর, রামু উপজেলায় ৪০০ হেক্টর, মহেশখালীতে ১৫০ হেক্টর, চকরিয়ায় ৪০ হেক্টর, কুতুবদিয়ায় ১৩ হেক্টর ও পেকুয়ায় ৬ হেক্টর জমি সুপারি চাষ হয়েছে।
মেরিন ড্রাইভের মনখালীর ছৈয়দ হোছাইন বলেন, পরিত্যক্ত জমিতে কিছু সুপারি গাছ লাগিয়েছিলাম। এ বছর ভাল ফলন এসেছে। প্রতিবছর ৬-৮ লাখ টাকার সুপারি বিক্রি হচ্ছে। এতে করে পরিবারে ব্যাপক স্বচ্ছলতা আসছে বলেও তিনি জানান।
উখিয়ার পান-সুপারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুলতান আহমদ জানান, প্রতি মৌসুমে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন হাট বাজার হতে সুপারি ঢাকা-চট্টগ্রাম-রাজশাহী ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন আড়তে চলে যায়। পরে ওইসব সুপারি প্রক্রিয়াজাত হয়ে রপ্তানির মাধ্যমে চলে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাশেম বলেন, কৃষি নির্ভর অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে আমরা সবসময় সচেষ্ট রয়েছি। মৌসুমী অর্থকরী ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের তৎপরতায় সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে দুই থেকে আড়াইশ কোটি টাকার সুপারি বিক্রয় হবে বলে আশা রাখছি।
সুত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার