কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিবিজড়িত নদীর পাড়ের বৃক্ষ নিধনকবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিবিজড়িত নদীর পাড়ের বৃক্ষ নিধন

নিউজ ডেস্কঃ
ঝালকাঠির চর ভাটারাকান্দায় কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিবিজড়িত ধানসিঁড়ি নদীর পাড়ের গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগ ও স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সদস্যের ওপর। তবে বন বিভাগ ও চেয়ারম্যান বলছেন, কোন দুর্নীতি ছাড়াই আইন অনুযায়ী গাছ কাটা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ধানসিঁড়ি নদীর বেড়িবাঁধের দুপাশের সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের প্রায় ৬ হাজার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশ কিছু দিন ধরে কবি জীবনান্দ দাশের ধানসিঁড়ি নদী খননের নামে নদীর দুই পাশের পাঁচ লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। এমনকি মাটি খুঁড়ে গাছের গোড়া পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে।

ঝালকাঠি উপজেলা বন বিভাগ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১ আগস্ট ২০১২ অর্থ-বছরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের দক্ষিন চরভাটারাকান্দা ধানসিঁড়ি নদীর বাঁধে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ধানসিঁড়ি নদীর বাঁধের দুপাশে সামাজিক বনায়ন করেন দক্ষিন চরভাটারাকান্দা বনায়ন সুবিধাভোগী সমিতি। উপজেলা বন বিভাগ সমিতির পরিচালনা কমিটির সঙ্গে দক্ষিণ চরভাটারাকান্দা বনায়নের চুক্তি সম্পাদন করেন। চুক্তি সম্পাদনের পর এর আওতায় উপজেলা বন বিভাগের অর্থায়নে সমিতির উদ্যোগে ওই বাঁধের দুই পাশে রেইনট্রি, মেহগনি, কড়ইসহ ১০ হাজার চারা রোপণ করা হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ওই গাছ বিক্রির টাকা সুবিধাভোগী দ্বিতীয় পক্ষ শতকরা ৫৫ ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাভখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাকির হোসেন বলেন, ‘ধানসিঁড়ি নদীর খননের জন্য প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকার নদীর পাড়ের ৯০ ভাগই গাছ কাটতে হয়েছে। তবে গাছগুলো পরিপক্ক ছিল না।’

ঝালকাঠি ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বাকলাই বলেন, ‘বন বিভাগ থেকে ২০১১-১২ সালের অর্থ বছরে ৭ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বরদের সামনেই গাছের পাঁচটি লট সংরক্ষণ করেছে।’
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *