নিউজ ডেস্কঃ
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসন বিভিন্ন পশু্র হাটগুলো কেনাবেচার জন্য খুলে দিলেও কোরবানির পশুর দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন এই অঞ্চলের খামারিরা। করোনায় ক্রেতাদের উপস্থিতি ও পশুর ন্যায্য দাম নিয়ে আশঙ্কাগ্রস্ত ব্যবসায়ী, হাট ইজারাদারসহ প্রান্তিক খামারিরা।
চাহিদা মোতাবেক সারাবছর ধরে প্রস্তুতকৃত এসব পশু যদি ঈ্দে বিক্রি করা না যায় তাহলে চরম লোকসানে পড়বেন বলে খামারিরা জানিয়েছেন। রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীর উপজেলার কাঁকনহাট, রাজাবাড়ী, তানোর উপজেলার মন্ডুমালাহাট, মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট, বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর হাট, রুস্তুমপুর হাট, চন্ডিপুর, পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাটসহ প্রায় সব পশুহাটেরই একই অবস্থা। এখন পর্যন্ত পশুর হাটে খুব বেশী পাইকারের দেখা পাওয়া যাচ্ছেনা বলেও তারা জানান।
খামারি মোস্তফা জামান জানান, তিনি একজন সাধারণ খামারি। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ১৭টি গরু কোরবানিতে বিক্রি করবেন ভেবে লালন-পালন করেছেন। কিন্তু করোনার দাপটে এখনও গরু কেনাবেচাই শুরু হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে গরুর ন্যায্য দাম পাওয়া তো দূরের কথা- পুঁজি সঙ্কট দেখা দেবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. অন্তিম কুমার সরকার বলেন, এবারের ঈদুল আজহায় প্রায় ৩৫ হাজার পশুর ঘাটতি রয়েছে। বাইরে থেকে গরু আমদানি না হওয়ার পাশাপাশি বাইরে থেকে গরু ব্যবসায়ী না এলেও ন্যায্য মূল্যেই পশু কেনাবেচা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
সুত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার