নিউজ ডেস্কঃ
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় দীর্ঘমেয়াদী কী প্রভাব পড়বে তা বলা মুশকিল। তবে বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দ্রুততার সাথে সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কৃষকদেরকে বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করছে। ফলে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও খাদ্য উৎপাদনের ধারা বজায় আছে। আশা করা যায়, করোনার প্রভাবে দেশে খাদ্য নিয়ে কোন সংকট হবে না।
কৃষিমন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৫তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক কনফারেন্সে অনলাইনে দেয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুর রৌফ, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ ও জুনোটিক (প্রাণিবাহিত) রোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এক স্বাস্থ্য অ্যাপ্রোচ নিতে হবে যেখানে মানুষ, প্রাণি, উদ্ভিদ ও পরিবেশের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ককে বিবোচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে।
এবারের ৩৫তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক কনফারেন্সের আয়োজক ভুটান। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ভিভিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১-৪ সেপ্টেম্বর সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ কনফারেন্স। কনফারেন্সের চেয়ারপার্সন ভুটানের কৃষি ও বনমন্ত্রী লিওনপো ইয়েশি পেনজর, এফএওর মহাসচিব ডংইয়ু কিউ ও সদস্য দেশসমূহের কৃষিমন্ত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চরের ৪৬টি দেশ এ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করছে।
সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন