নিউজ ডেস্কঃ
ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির নির্মল স্বাদ পেতে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা বান্দরবান। পাহাড়-পর্বত ছাড়াও এখানে রয়েছে ঝিরি-ঝর্ণা, মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, চিম্বুকসহ অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছরই ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামে বান্দরবানে।
করোনায় এই বছর ব্যতিক্রম ঘটনা দেখা মিললো। এ সময়ে যেখানে পর্যটকদের ঢল থাকার কথা, সেখানে পর্যটক শূন্য। খালি পড়ে রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। হোটেল-মোটেল রিসোর্টগুলো ফাঁকা। করোনার কারণে সাড়ে চার মাসেও চালু হয়নি হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
ঈদ উপলক্ষে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খোলা হবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল সংশ্লিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীদের। কিন্তু ঈদেও বন্ধ রয়েছে বান্দরবানে হোটেল-মোটেল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো। করোনা প্রতিরোধে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখায় বান্দরবানের পর্যটকদের আগমন ঘটেনি।
গত ১৭ মার্চ স্থানীয় প্রশাসন পর্যটক ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এখনো বহাল রয়েছে এতে ধস নেমেছে পর্যটন শিল্পসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসা। ফলে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
হাটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, বান্দরানে পর্যটনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। করোনাভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ায় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। যার কারণে সকল ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটিই স্বাভাবিক হলে সঙ্কট কেটে উঠতে পারবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন বলেন, বান্দরবান একটি পর্যটন জেলা। এখানে দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক আসেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। এই বন্ধের মাঝে আমাদের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে নতুনভাবে সাজে সাজানো হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস কমে গেলে এবং সরকার আমাদের অনুমতি দিলে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হবে।
সুত্রঃ সংবাদ