নিউজ ডেস্ক:
করোনার প্রভাবে এমনিতেই অজানা আশঙ্কায় দিন কাটছিল পুঠিয়ার কৃষকদের, তার উপর আজ বয়ে গেলো প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়,’আম্পান’। আম্পান তার বিষদাঁত বসিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে গেলো কৃষকের সোনালি ধান, আম, কলা, পেঁপে, পান, ভূট্টাসহ অনেক ফসল৷ আম্পান তার তান্ডব লীলা শুরু করে বুধবার রাত থেকে, যা চলে বৃহস্পতিবার সকাল ১০.০০ টা অবধি পর্যন্ত। আর তাতেই নিমেষেই ফিকে হয়ে যায় কৃষকের স্বপ্ন। প্রায় অর্ধ দিনব্যাপী এ তান্ডবলীলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুঠিয়ার প্রায় ৬০ হেক্টর ধান, ৩০০ হে. আম, ০৫ হেক্টর ভূট্টা, ০৫ হেক্টর পান, ০৫ হেক্টর পেঁপে, ৬০ হেক্টর সবজি,০৫ হেক্টর জমির কলাসহ বিভিন্ন ফসল। এছাড়াও তিল,মুগের জমিতে পানি জমে গেছে যেগুলো নিষ্কাশন করতে না পারলে পঁচনের সম্ভাবনা আছে।
কৃষকের এই দুর্দিনে পাশে থেকে ফসলের খোঁজ খবর নিয়েছেন পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুন নাহার ভুঁইয়া। দেখা গেছে সকাল ৯.০০ টা থেকেই তিনি তার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল ইসলাম ও তন্ময় কুমার সরকারকে নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন পুঠিয়ার এক ইউনিয়ন থেকে আর এক ইউনিয়ন। বেলপুকুরিয়া থেকে শিলমাড়িয়া, সমগ্র উপজেলায় মাঠে মাঠে, মোড়ে মোড়ে গিয়ে কথা বলেছেন কৃষকদের সাথে ৷ তুলে এনেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের প্রকৃত চিত্র। সমবেদনা জানিয়েছেন দিশেহারা কৃষকদের। সাহস ও উৎসাহ দিয়েছেন নতুন করে প্রাণোদ্দম ফিরে পাবার। সেই সাথে মাঠ পর্যায়ে ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কাজের মনিটরিং করেছেন।
পরামর্শ দিয়েছেন জমে থাকা পানি অপসারণের।পাকা হেলে যাওয়া ধান কাটার জন্য কৃষকদের বলেছেন এই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।