কাঁঠাল বীজের গুণাগুণকাঁঠাল বীজের গুণাগুণ

নিউজ ডেস্কঃ
কাঁঠালের পুষ্টিগুণের কথা কমবেশি সবারই জানা। তবে এর বীজও কিন্তু কম উপকারী নয়। এতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে। কাঁঠালের বীজে থাকা জিঙ্ক, আয়রন, তামা, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়াও এতে থাকা রাইবোফ্ল্যাভিন ও থিয়ামিন শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

এ ছাড়াও আরও নানা ভাবে এই বীজ ব্যবহার করতে পারেন। যেমন—

বলিরেখা দূর করতে : কাঁঠাল বীজ ভিজিয়ে বেটে নিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে তারপর সেই বাটা চোখের নিচে লাগাতে পারেন। নিয়মিত এই মিশ্রণ লাগালে ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। চোখের নিচে কালিও কমবে, বলিরেখাও দূর হবে।

দুধ আর মধুর সঙ্গে কাঁঠাল বীজ বাটা মিশিয়ে সারা মুখে লাগালে প্রাকৃতিক ফেসিয়ালের কাজ করবে। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক ঝকঝকে দেখাবে।

মানসিক চাপ কমাতে : কাঁঠাল বীজ রোদে শুকিয়ে তারপর তাওয়ায় ভেজে খেতে পারেন। এ ছাড়াও তরকারির মতো রান্না করেও খাওয়া যায় এটি। কাঁঠালের বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস থাকায় এটি মানসিক চাপ কমায়। আমেরিকার জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এই বীজ ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল রাখে।

রক্তশূন্যতা দূর করতে : কাঁঠালের বীজে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি রক্তশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখে।

চোখের সুরক্ষায় : কাঁঠাল বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এ কারণে এটি দৃষ্টি স্বচ্ছ রাখতে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে বেশ কার্যকরী।

প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে : যারা মাছ-মাংস খেতে পছন্দ করেন না তারা প্রোটিন পেতে কাঁঠালের বীজ খেতে পারেন। এটি পেশির শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিয়মিত যারা জিমে যান, তারা খাদ্যতালিকায় এই বীজ রাখতে পারেন।

হজম ক্ষমতার উন্নতি : কাঁঠালের বীজ রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে রাখতে পারেন। এই গুঁড়া নিয়মিত খেলে গ্যাসের আশঙ্কা কমে। এ ছাড়া কাঁঠাল বীজে প্রবায়োটিক থাকায় এটি শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়।

এ ছাড়াও আমেরিকার জার্নাল অব নিউট্রিশনের গবেষণা বলছে, প্লাজমাতে এইচডিএলের পরিমাণ বাড়াতে কাঁঠাল বীজ ভূমিকা রাখে। শরীরে এলডিএল, ভিএলডিএল, কোলেস্টেরল, ট্রাই গ্লিসারাইডের পরিমাণ কমাতেও উপকারী এই উপাদান। এ কারণে এটি হৃদরোগের জন্যও উপকারী।

কীভাবে খাবেন:

১. রোদে শুকিয়ে ভেজে লবণ-গোলমরিচ দিয়ে খাওয়া যায়।

২. রোদে শুকিয়ে তারপর সিদ্ধ করে ভর্তা করে খাওয়া যায়।

৩. তরকারি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়।

৪. কাঁঠালের বীজ বেটে পায়েস বানানো যায় দুধ দিয়ে।

সুত্রঃসমকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *