নিউজ ডেস্কঃ
কৃষিই সমৃদ্ধি *সোনালী আঁশের সোনার দেশ, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশ * এই স্লোগান কে সামনে রেখে পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র,কিশোরগঞ্জ কর্তৃক কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নে দিনব্যাপী পাটচাষিদের কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত ৫০ জন পাটচাষিকে আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষ ও আঁশ উৎপাদনের কলাকৌশল, পাটের বিভিন্ন জাত ও প্রযুক্তি, আধুনিক পদ্ধতিতে পাট পচন, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের গুরুত্ব,ক্রপিং প্যাটার্ন, ক্রপ রোটেশন, শস্য বিন্যাস, বিজেআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত নতুন জাত বিজেআরআই তোষা পাট-৮ (রবি-১) এবং বিজেআরআই দেশি পাট শাক-১ এর প্রযুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও *নিজের বীজ নিজে করি * প্রযুক্তির বিস্তারিত কলাকৌশল বিষয়ে গবেষকগণ বিস্তারিত আলোচনা রাখেন। পাটচাষি মোঃ আতিকুর রহমান গাজী বলেন, পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ অফিসে গিয়ে নিজের বীজ নিজে করার বাস্তব অভিজ্ঞতা পেয়েছি এবং স্যারেরা ভালো মানের বীজ দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন।
আজ পাট কাটা, পাট পচানো, শুকানো, কালো পাট সাদা করার প্রযুক্তি এবং নিড়ি ছাড়া কম খরচে পাট উৎপাদনের বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আমরা আজ অনেক কিছু জানতে পেরেছি।আমাদের এলাকায় কেনা/বুট নাইল্ল্যা/ কেনাফ খুব বেশি আবাদ হয়।
পাটের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় বর্তমান সরকারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র, কিশোরগঞ্জের প্রধান ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পিএসও) জনাব কৃষিবিদ মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, পিএইচডি, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জনাব কৃষিবিদ মোঃ আব্দুস সালাম, পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র, কিশোরগঞ্জের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মোঃ আবুল বাশার ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ রঞ্জন চন্দ্র দাস।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাবিব তালুকদারসহ অনেকেই। প্রশিক্ষকরা বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও গবেষণাধর্মী আলোচনা রাখেন।