নিউজ ডেস্কঃ
করোনা মহামারীর কারণে কৃষক ও প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা তাদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে ডিজিটাল ওয়ালেটভিত্তিক বা অ্যাপসভিত্তিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা চালুরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের এমডি ও চেয়ারম্যানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলার জন্য সরকার এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই অংক দেশের জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ পর্যন্ত ৬৬টি সার্কুলার জারি করা হয়েছে এই প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন নিয়ে। এর মধ্যে রয়েছে- রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-প্রতিষ্ঠান (এসএমই) খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা, রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) জন্য ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা, প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিমের আওতায় ৫ হাজার কোটি টাকা এবং উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানার জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ সুবিধা বা চলতি মূলধন ঋণের আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
কৃষি খাতে ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের লক্ষ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার পনুঃঅর্থায়ন স্কিম ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের জন্য ২ হাজার কোটি টাকার তহবিল, বাণিজ্যিক ব্যাংকের স্থগিত সুদের ভর্তুকির জন্য ২ হাজার কোটি টাকা এবং নিম্ন আয়ের পেশাজীবি, কৃষক ও ক্ষুদ্র/প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য ৩ বছর মেয়াদি ৩ হাজার কোটি টাকার আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সূত্রঃ আজকের কৃষি