কৃষকদের চিকিৎসা দেবে ডকটাইমকৃষকদের চিকিৎসা দেবে ডকটাইম

 

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত অর্থবছরের চেয়ে যা ৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে এ খাতে মোট ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বিতরণ করবে। তবে কোন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কত বিতরণ করবে, তার বিস্তারিত আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে জানাতে হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ঋণ বিতরণে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শস্য খাতে বিতরণ করতে হবে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে লক্ষ্যমাত্রার কমপক্ষে ১০ শতাংশ করে ঋণ বিতরণ করতে হবে। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণে গুরুত্ব দিতে হবে। যে এলাকায় যে ফসল ভালো উৎপাদন হয়, সে এলাকায় সেই ফসলে গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবভিত্তিক ঋণ বিতরণ করতে হবে। প্রকৃত ক্ষুদ্র, প্রান্তিক কৃষক, ভূমিহীন ও বর্গাচাষিদের সহজ পদ্ধতিতে কৃষিঋণ দিতে বলা হয়েছে নীতিমালায়। কৃষিতে ৪ ও ৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদে ঋণ দেওয়া হয়।

অতি খরা বা বৃষ্টির মতো পরিবেশগত কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া, করোনা-পরবর্তী বাড়তি চাহিদা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহে জটিলতা দেখা দেওয়ায় বিশ্বব্যাপী কৃষিপণ্যের দাম বেড়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে কৃষিঋণ নীতিমালায় পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শিল্প ও সেবা খাতে সর্বশেষ প্রণোদনা ঋণের বরাদ্দ ৩০ হাজার কোটি টাকা: এদিকে একই দিনে অপর এক সার্কুলারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় নেওয়া আর্থিক প্রণোদনার তৃতীয় ও সর্বশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ প্যাকেজে শিল্প ও সেবা খাতের (সিএমএসএমই বাদে) প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেজা, বেপজা, বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষে অবস্থিত এ, বি, সি টাইপ শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং এসব এলাকার বাইরে অবস্থিত শতভাগ বিদেশি বা যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

সুত্রঃ সমকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *