নিউজ ডেস্কঃ
আগামী অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে ব্যাপক সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
তবে মাছ চাষে ৩০ লাখ টাকার বেশি আয় হলে তার ওপর ১৫% হারে কর আরোপ হতে পারে
করোনাকালীন সংকটে কৃষি খাতের ওপর নির্ভর করে অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আগামীকাল ঘোষিতব্য বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতির দাম কমানো হয়েছে, কৃষি খাতে বিনিয়োগে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলমূল, শাক-সবজি, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণেও রাজস্ব ছাড় দেওয়া হয়েছে।
২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে ন্যূনতম এক কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতির সুবিধা দেওয়া হবে।
তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত থাকবে, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই বিডার নিবন্ধিত হতে হবে। কাঁচামালের সবটা দেশে উত্পাদিত হতে হবে। উত্পাদনকারী কারখানার পরিবেশ বা পণ্যের মানের কারণে দেশি-বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শাস্তি পেলে এ সুবিধা পাবে না।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে দেশে উত্পাদিত ফলমূল, শাক-সবজি, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য তৈরিতে বিনিয়োগকারীকে প্রথম ১০ বছর কর অব্যাহতি দেওয়া হবে।
তবে আগামী বাজেটে মাছ চাষে কঠোরতা আনা হয়েছে। মাছ চাষে ৩০ লাখ টাকার বেশি আয় হলে তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপ হতে পারে। বিদ্যমান আইনে মত্স্য খাতে আয়ের প্রথম ১০ লাখ টাকার ওপর কোনো আয়কর দিতে হয় না। পরবর্তী ১০ লাখ টাকা আয়ে ৫ শতাংশ এবং ২০ লাখের পরে যে আয় হয়, তার ওপর ১০ শতাংশ হারে হিসাব কষে কর দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে আগামী অর্থবছরের মাছ চাষের আয়ের প্রথম ১০ লাখ টাকা করমুক্ত থাকবে। এরপর ১০ লাখে ৫ শতাংশ এবং পরের ১০ লাখে ১০ শতাংশ কর অপরিবর্তিত থাকবে।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনাকালীন সংকটেও কৃষি খাতে ছাড় দিয়ে সরকার আয় বাড়ানোর চেষ্টা করলে অর্থনীতিতে সুফল আসবে।
কারণ আগামী অর্থবছরে করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে শিল্প খাতের বিপর্যয় বাড়তে পারে। এতে অর্থনীতিতে মন্দা বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে কৃষি সরকারের একমাত্র ভরসার জায়গা হবে।’ আগামী অর্থবছরে কৃষি যন্ত্রপাতি উত্পাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিতে শুল্ক মওকুফ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ