কৃষিবিদ কামরুল ইসলাম
বৃক্ষটির নাম ‘নাগলিঙ্গম’ । এর ফুটন্ত ফুলের পরাগকেশর দেখতে অনেকটা সাপের ফণার মতো, সেজন্যই বৃক্ষটির নামকরণ হয়েছে ‘নাগলিঙ্গম’ ।
© এর ফল দেখতে কামানের গোলার মতো হওয়ায় ইংরেজিতে এটি ‘Cannonball Tree’ নামে পরিচিত । এছাড়া এর ফল হাতির প্রিয় খাদ্য হওয়ায় অনেকেই বৃক্ষটিকে ‘হাতির জোলাপ গাছ’ হিসেবে চেনে ।
© হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শিবপূজায় নাগলিঙ্গমের ফুল ব্যবহার করে । ভারতে এই বৃক্ষ ‘শিব কামান’ নামেও পরিচিত ।
© ফ্রান্সের উদ্ভিদবিদ জে.এফ. আবলেট ১৭৫৫ সালে এ বৃক্ষের বৈজ্ঞানিক নামকরণ করেন ‘Couroupita Guianensis’ যা Lecythidaceae পরিবারভুক্ত । উদ্ভিদবিদেরা বলেন, নাগলিঙ্গমের আদি নিবাস মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ।
গাছের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যঃ
——————————-
একটি পূর্ণাঙ্গ নাগলিঙ্গম বৃক্ষ ৩৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে । এর গুচ্ছ পাতাগুলো খুব লম্বা, সাধারণভাবে ৮-৩১ সেন্টিমিটার, যা ৫৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে । এর শাখা-প্রশাখায় কোনো ফুল ফোটে না বরং কাণ্ড ফুঁড়ে ছড়ার মতো ফুল বের হয় ।
নাগলিঙ্গম গাছের ভেষজ গুণঃ
—————————————–
নাগলিঙ্গমের ভেষজ গুণও অনেক । এর ফুল, পাতা ও বাকলের নির্যাস থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি হয় । অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার করা হয় এর নির্যাস । এই বৃক্ষ থেকে তৈরি ওষুধ পেটের পীড়া দূর করে । ম্যালেরিয়া রোগ নিরাময়েও নাগলিঙ্গমের পাতার রস ব্যবহৃত হয় ।
© পৃথিবীর অনেক জায়গায় নাগলিঙ্গমের চাষ হলেও বাংলাদেশে এটি বেশ দুর্লভ বৃক্ষ । সমগ্র বাংলাদেশে অনধিক ৫০টি নাগলিঙ্গম বৃক্ষ রয়েছে।
যার মধ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাশাপাশি ৩টি নাগলিঙ্গম বৃক্ষ রয়েছে ।
*** ছবি ও লিখা সংগৃহিত (ছবিগুলো শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোলা) ।
আপনার কোন জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট করুন।
যোগাযোগ————-
কৃষিবিদ কামরুল ইসলাম
৩৫ তম বিসিএস কৃষি
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার
পুঠিয়া, রাজশাহী