কিশোরগঞ্জ পাটের বিরাট সম্ভাবনাময় এলাকা। অত্র অঞ্চলে দিন দিন পাটের চাহিদা বেড়েই চলেছে বিশেষ করে করিমগঞ্জে কেনাফ/বট নাইল্যার আবাদ প্রতিনিয়তই বাড়ছে কিন্তু চাহিদামতো উচ্চ ফলনশীল এইচসি-৯৫ বীজের যোগান না হওয়ায় কৃষকরা বাজারের নিম্নমানের ইন্ডিয়ান বীজ করে প্রতারিত হচ্ছেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাত এইচসি-৯৫ কেনাফ পাটের চাহিদা অনেক বেশি কিন্তু সেই তুলনায় বীজের যোগান কম। তাই পাট বীজের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, ডিএই,বিএডিসি যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ কর্তৃক আজ করিমগঞ্জ উপজেলার কিরাটন ইউনিয়নের ৭০ জন পাটচাষিদের মাঝে নাবী কেনাফ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে ফ্রি কেনাফ বীজ বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য কিশোরগঞ্জে পাট/কেনাফ বীজের চাহিদা প্রায় ১২০ মেঃটন যেখানে যোগান তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।তাই কৃষক ভাইদের নিজের বীজ নিজে উৎপাদন করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য মতবিনিময় ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ডঃ মোঃ আইয়ুব খান, মহাপরিচালক, বিজেআরআই,ঢাকা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য পরিচালক, বীজ ও উদ্যান, বিএডিসি,ঢাকা, ডঃ মোঃ শাহাদাত হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, খামার ব্যবস্থাপনা ইউনিট,বিজেআরআই,ঢাকা,কৃষিবিদ মোঃ আনোয়ার হোসেন, উপ-পরিচালক, পাট বীজ, বিএডিসি, ঢাকা অঞ্চল।
সভাপতিত্ব করেন ডঃ মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, প্রধান ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ।
সঞ্চালনায় ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ আবুল বাশার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দাস, পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ।
আরও উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেনসহ প্রায় ৭০-৮০ জন পাটচাষি। অনুষ্ঠান শেষে ৫০ জন কেনাফ চাষীদের মাঝে ফ্রি কেনাফ বীজ বিতরণ করা হয় যারা এবার নিজের বীজ নিজে উৎপাদন করতে উদ্বুদ্ব হয়েছেন এবং নাবী পাট বীজ উৎপাদন করে নিজেদের পাশাপাশি অন্য চাষিদের বীজের চাহিদার যোগান দিবেন।
উল্লেখ্য যে,ইন্ডিয়ান কেনাফের আঁশের ফলন যেখানে ১০ শতাংশে ১ মণ সেখানে পাট গবেষণার এইচসি-৯৫ এর গড় ফলন ১০ শতকে প্রায় ৩.৫০ মণ।আর এইচসি-৯৫ এর বীজের গড় ফলন একরে ৪০০-৫৫০ কেজি।