ডেস্ক  রিপোর্টঃ

কয়েকদিন পরেই মুসলিম ধর্মলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। করোনার প্রাদুর্ভাবে এবার উত্তর বঙ্গের সবচেয়ে বড় বানেশ্বর পশুর হাট এখনো জমে উঠেনি। গরুর দামও কম। এতে বিক্রেতারা চিন্তায় থাকলেও কম দামে গরু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
এ বছর দেশি গরু, ছাগলে ভরপুর। তবে করোনায় খাদ্য দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও অর্থকষ্টে ব্যবসায়ীরা গরু, ছাগলগুলোকে খুব একটা স্বাস্থ্যবান করতে পারেনি।

জানা যায়, উত্তর বঙ্গের সবচেয়ে বড় পশুর হাট রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাট। নাটোর -চাপাই নবাবগঞ্জ দুই জেলার গরু আসে এ হাটে। এখান থেকে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা গরু কিনে থাকেন। সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শনিবার দুই দিন হাটে গরু বেচা কেনা হয়।

গরু বিক্রেতা আব্দুর জলিল জানান, ভারতীয় গরু না এলেও এ বছর করোনার কারণে ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারছেনা তারা। এছাড়া গো-খাদ্যের দিন দিন যেভাবে মূল্য বাড়ছে তাতে লাভ থাকছেনা। ফলে আগামীতে হয়তো এ পেশা বাদ দিতে হবে।

বানেশ্বর বাজারের ইজারাদার ওছমান আলী জানান, বাজারটি এক বছরের জন্য সরকারিভাবে ১ কোটি২৬ লক্ষ টাকা দিয়ে ডেকে নেওয়া হয়েছে। যার প্রতি হাট হিসাবে সরকারকে দেয়া লাগে ২ লক্ষ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। করোনার কারণে সরকারের নির্দেশনায় আমরা দুই মাসের বেশি সময় এই পশু হাটটি বন্ধ রেখেছিলাম। হাট বন্ধ থাকায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে সরকারের কাছে দাবি আমাদের এই ক্ষতিটা যেন পুষিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ পাই।

পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর পশুর হাটের সদস্য মোঃ সেলিম শেখ জানান, উত্তর অঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ হাটের সব প্রস্তুতির পরে স্থানীয় খামারিসহ ব্যাপারীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। তবে করোনায় বিক্রেতা থাকলেও নেই ক্রেতা। এ বছর এই হাট সরকারিভাবে ১কোটি ২৬ লক্ষ টাকা দিয়ে হাট ইজারা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে করোনায় হাটে ক্রেতা কম থাকায় পশু কেনা বেচাও কম হচ্ছে যাতে করে ইজারার টাকাও উঠছে কম। এতে করে লোকসানে জর্জরিত হতে হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, করোনায় ক্রেতা বিক্রেতার যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সে জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া পশুহাটটি সার্বক্ষণিক প্রশাসনের তদারকিতে আছে।

এবার ভারতীয় গরু-ছাগল না আসলেও করোনায় কোরবানির পশুর হাটে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। রাজশাহী জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৯টি পশুর হাট রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাট হচ্ছে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর পশু হাট। স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা যাতে হাটে আসে সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *