মোরশেদ আলম,যশোর প্রতিনিধি
যশোর কেশবপুরে কচুর লতির চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে। কচুর লতি চাষে সফল হয়েছেন কেশবপুরের চাষিরা। কচুর লতি চাষে তুলনামূলক কম শ্রম ও অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন কচুর লতি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই অঞ্চলের চাষীরা।
এছাড়া কচুর লতি চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে ছাই। আর তাতে এর ফলনও হচ্ছে অনেক বেশি। এ অঞ্চলের চাষ হওয়া কচুর লতি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই মৌসুমে কেশবপুর উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়েছে। আর এসব সবজির মধ্যে কচুর লতি চাষ হয়েছে প্রায় ৯৫ হেক্টর জমিতে।
কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ী গ্রামের কৃষক বজলুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে কচুর লতি চাষ করছেন তিনি। কচুর লতি চাষে তার খরচ হয়েছে আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা। আর লাভ হয়েছে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকা। তাছাড়াও আরও যে পরিমাণ কচুর মূল রয়েছে, সেখান থেকে ২০-৩০ হাজার টাকার লতি বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
এলাকার আরেক কৃষক আবুল হোসেন জানান, এখানকার উৎপাদিত কচুর লতি খেতে বেশ সুস্বাদু। তাই এখানকার লতির চাহিদা রয়েছে বেশ। আর এর ফলে ভাল দামও পাচ্ছেন চাষীরা। আগে তিনি তার জমিতে ধান চাষ করতেন। পরে কৃষি অফিসারের পরামর্শে কচুর লতি চাষ করেন তিনি। লাভও পেয়েছিলেন বেশ ভাল। আর তখন থেকেই কচুর লতি চাষ করছেন তিনি।
কেশবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা জানান, এসব অঞ্চলে ধানের চেয়ে সবজির চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানকার কৃষক শীতকালীন সবজির পাশাপাশি কম খরচে বেশি লাভের আশায় কচুর লতি চাষ করে থাকেন।