মোরশেদ আলম, যশোর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
যশোর কেশবপুর উপজেলায় ৭ নং পাঁজিয়া ইউনিয়নের গড়ভাংগা গ্রামে মানকচু চাষ করে বাম্পার ফলনের আশা করছেন বেকার ছেলে আকবর আলী। আকবার আলী গড়ভাংগা গ্রামের রহমত আলীর ছেলে ,ডিগ্রি পাশ অর্জন শেষে দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টায় চাকরী না পাওয়ায় সুবাধে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এর আগে তিনি নিজ উদ্যোগে কলা চাষ করেছিলেন, কলা চাষে কিছুটা লাভবান হলেও পরবর্তীতে তিনি ভিন্ন মানে মানকচু চাষ করার জন্য উদ্যোগ নেয় ,এবং বর্ষার মৌসুমে ১৫ শতক জমিতে তিনশত মানকচুর চারা রোপন করেন, এবং চাষ যগ্য জমীতে মাটি উর্বর থাকায় ভাল ফলন পাবেন বলে তিনি জানান। সারেজমিনে গিয়ে দেখতে পায় ইতিমধ্যো তিনি মানকচু তুলে বাজারজাত করন শুরু করেছেন। ভিন্ন উদ্যত্তা আকবর আলী জানান,এবছর ঘূর্ণঝড় আম্ফান ও অতিরিক্ত বন্যা হয়ে চাষ করা জমী বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে পেশাগত চাষীরা বিভিন্ন সবজী তরকারী চাষে ব্যার্থ হয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজার চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমানে সবজী না থাকায় বিভিন্ন তরকারী বাজারগুলোতে আগুন বরাবর দাম বিদ্যামান চলছে, তাই বাজারে সবজি তরকারীর দাম বেশি থাকায় ভালোই লাভের মুখ আশা করছি।
তার এমন ভিন্ন সাফল্যময়ী উদ্যোগ নেওয়া দেখে তার বড় কাকাও মানকচু চাষ করেছেন।এবং তিনি ও ভাল ফলন পাবেন বলে জানান।
এবং আকবর আলী আরো জানান, মানকচু চাষে সার প্রয়োগ ও শ্রম কম থাকায় এ উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এবং স্বল্পমূল্যে খরচের তুলনায় এ চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যাবে বলে আশা করছি। আমার এমন ভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার কারণে ফলন ভালো দেখে আশে পাশে থাকা কৃষকেরাও মানকচু চাষ করা শুরু করেছেন। এবং আমার এ ভিন্ন উদ্যোগী কচু চাষ শুধু লাভের আশায় নয়, বরং আমার মত বিভিন্ন এলাকায় যারা চাকরির আশায় বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা যদি বসে না থেকে এমন কিছু উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে, তাহলে নিশ্চয় বেকারত্ব কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে আমি মনে করি।