মোরশেদ আলম,কেশবপুর যশোর প্রতিনিধি
কেশবপুরের কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে আগরহাটি-ডহুরী খালের প্রায় ৩ কিলোমিটার পলি অপসারণের কাজ শুরু করেছেন। আগরহাটি ৪ ব্যান্ড স্লুইস গেটের পাশে গিয়ে দেখা যায় ভরত ভায়না বিল এলাকার প্রায় ২০০ কৃষক খালের পলি অপসারণ করছেন।
আগরহাটি-ডহুরী খালের পানি নিষ্কাশন পথ পলি দ্বারা বন্ধ হয়ে ভরতভায়না বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষে বিল এলাকার শত শত কৃষক গত ২দিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে ওই খালের পলি অপসারণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, আগরহাটি-ডহুরী খালের ৪ ব্যান্ড স্লুইস গেট দিয়ে ভরতভায়না বিল এলাকার সারুটিয়া, ভেরচি, ডহুরী, কাঁকবাঁধাল, ভরতভায়না, সন্ন্যাসগাছাসহ কয়েকটি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। ওই খাল পলিতে ভরাট হওয়ার কারণে গত বছর অধিকাংশ বিলে বোরো আবাদ হয়নি। একথা বিবেচনা করে এলাকার কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে ওই খালের পলি অপসারণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ সময় কৃষক প্রদত্ত বিশ্বাস বলেন, ভরত ভায়না বিলে রয়েছে ৯০০ হেক্টর জমি। খালটি পলিতে ভরাট হওয়ায় পানি ঠিকমত সরতে না পেরে বিলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ওই জলাবদ্ধতা নিরষণ করে কৃষকরা বোরো আবাদ করার জন্য বিল পারের ডহুরী, কাঁকবাঁধাল, সারুটিয়া গ্রামের প্রায় ২০০ কৃষক সকাল থেকে খালের পলি অপসারণ কাজ চালান।
কৃষকদের সঙ্গে পলি অপসারণ কাজে সহযোগিতা আসা ডহুরী গ্রামের কৃষক স্বপন কুমার বলেন, খালটি হরি নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে আগরহাটি ৪ ব্যান্ড স্লুইস গেট দিয়ে ডহুরী এবং ডহুরী থেকে কাঁকবাঁধাল পর্যন্ত খালটি গিয়ে মিশেছে। খাল দিয়ে বিলের পানি প্রবাহে বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় বিলের কৃষকরা বোরো আবাদ করা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। এ কারণেই কৃষকরা স্বউদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের পলি অপসারণ করছেন।