নিউজ ডেস্কঃ
দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এ বছর সীমান্তে ‘বিট খাটালের’ মাধ্যমে গরু আনার অনুমতি দেয়া হয়নি পাশাপাশি ঈদের আগে ভারত থেকে গরু আনা ঠেকাবে সরকার বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আনসার ও সীমান্ত) মো. সাহেদ আলী।
আজ ২২ জুন ২০২০, সোমবার চামড়াশিল্প নিয়ে সরকারের এক টাস্কফোর্সের সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আনসার ও সীমান্ত) মো. সাহেদ আলী এ তথ্য জানান । তিনি বলেন, এবার দেশীয় খামারিরা যাতে গবাদিপশুর ভালো দাম পান, তা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের মে মাসে ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সীমান্তে গরু–বাণিজ্য অনেকটাই কমে গেছে। এর আগে বছরে ২০ লাখের বেশি গরু আনার আনুষ্ঠানিক হিসাব ছিল। এদিকে ভারতীয় গরু আনা কমে যাওয়ার পর বাংলাদেশেও গবাদিপশু পালন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, বিগত কয়েক বছরে পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশে ১ কোটি ১০ লাখের মতো পশু কোরবানি দেওয়া হয়। এর মধ্যে গরু-মহিষ থাকে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ। সেটা দেশীয় খামারিদের গরু-মহিষ দিয়েই পূরণের আশা করছে সরকার। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর পশু কোরবানির সংখ্যাও কমার আশঙ্কা রয়েছে।
অবশ্য গরুর মাংসের দাম কমে না। বাজারে এখনো এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৫৮০ টাকার আশপাশে। ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) হিসাবে, ঢাকায় ২০১৪ সালে এক কেজি গরুর মাংসের গড় দাম ছিল ৩০০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে গরু আসা ঠেকানোর কথা জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সুত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার