নিউজ ডেস্কঃ
খাগড়াছড়িতে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। লাভজনক হওয়ার কারণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ৯টি উপজেলাতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁপে চাষ ক্রমেই বাড়ছে। এতে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তেমনি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন অনেকেই। আগামীতে পেঁপের চাষ আরও বাড়বে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।
পেঁপে চাষিরা বলেন, পেঁপে চাষে অর্থ বিনিয়োগ করলে খুব দ্রুত তা ফিরে পাওয়া যায়। অর্থ বিনিয়োগ করলে পাঁচ মাসের পর থেকে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাওয়া শুরু হয়। পেঁপে বাগানের পাঁচ মাসের পর থেকে ফলন পাওয়া শুরু হয়।
এই এলাকার সবচেয়ে বড় বাগানের মালিক হলেন সুজন চাকমা জানান, তারা তিন বন্ধু মিলে চার একর পতিত জমি, চার বছরের জন্য লিজ নিয়ে পেঁপে বাগান শুরু করেছেন এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। লিজ নেয়া জায়গায় তারা চার হাজার উচ্চ ফলনশীল রেডলেডি জাতের পেঁপে চারা রোপণ করেন।
আগস্ট মাস থেকে বাগানে ফলন শুরু হয়। এর আগে তারা পেঁপে চারার সাথে সাথে ফসল হিসেবে খিরা রোপণ করেছিলেন। সেই খিরা বিক্রি করে তারা পাঁচ লক্ষ টাকা আয় করেছিলেন। খিরা থেকে উপার্জিত আয় ও নিজেদের বিনিয়োগ করা অর্থ মিলে তারা এ পর্যন্ত মোট সাড়ে ১৩লাখ টাকা খরচ করেছেন। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যেই তাদের বাগানের বিনিয়োগ করা অর্থ তুলতে পেরেছেন।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুন্সি রশিদ আহমদ বলেন, পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে সমতল জায়গাগুলোতে পেঁপে চাষ খুবই উপযোগী। ইদানিং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পেঁপে চাষ খাগড়াছড়িতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন
সুত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার