নিউজ ডেস্কঃ
খুলনার রূপসায় বাণিজ্যিকভাবে প্রথমবারের মত ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন নাজিম উদ্দিন। ২২ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম চাষে তার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ফলন যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি বাজারে চাহিদাও ব্যাপক। এরই মধ্যে ২০ কেজি ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন নাজিম উদ্দিন। আরো অন্তত ২-৬ মাস তার বাগানের ক্যাপসিকাম বাজারে পাওয়া যাবে।
সফল ক্যাপসিকাম চাষি নাজিম উদ্দিন রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, একই উপজেলার ৪ নম্বর টিএসবি ইউনিয়নের কাজদিয়া গ্রামের গুচ্ছগ্রামের পশ্চিম পাশে ২২ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে ক্যাপসিকাম বাগান করেছেন নাজিম উদ্দিন। বাগানের একটি বিশেষায়িত শেডের নিচে শত শত গাছে লাল, হলুদ ও সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম ঝুলে আছে। পরিচ্ছন্ন বাগান জুড়ে পাতার ফাঁকে ফাকে উঁকি দিচ্ছে ক্যাপসিকাম। প্রতিদিন এ বাগান দেখতে আসে অসংখ্য মানুষ। তাদের মধ্যে কেউ ক্রেতা, কেউ আবার উৎসুক জনতা।
ক্যাপসিকামের পাশাপাশি একই জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে স্কোয়াশও চাষ করছেন নাজিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। হঠাৎ আমার চাকরি চলে যায়। তখন ইউটিউবে ভিডিও দেখে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ জাগে। এরপর ৪ নম্বর টিএসবি ইউনিয়নের একজনের কাছ থেকে ২২ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করি। প্রথমে এই জমিতে আড়াই হাজার গাছ লাগিয়েছি। বর্তমানে প্রায় দুই হাজার গাছ টিকে আছে।
নাজিম উদ্দিন বলেন, এই বাগান করতে আমার প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ কেজির মতো ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছি। আরো অন্তত ২-৬ মাস এসব গাছ ফল দিতে পারে। এই গাছ ৪-৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ক্যাপসিকাম গাছে পোঁকার আক্রমণ বেশি তাই স্প্রে করতে হয়। এই ফল খুব পুষ্টিকর। বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম পাইকারি ১৮০-২০০ টাকা এবং খুচরা ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।
রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদুজ্জামান বলেন, দেশের অনেক মানুষের কাছে ক্যাপসিকাম এখনো নতুন ফসল হিসেবে পরিচিত। দেশব্যাপী ছড়িয়ে না পড়ায় এর দাম কিছুটা বেশি। তবে এই ফল অনেক পুষ্টিকর।
তিনি আরো বলেন, খুলনা জেলার মধ্যে নাজিম উদ্দিনই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। তার সফলতা দেখে রূপসার অনেকে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এরই মধ্যে অনেক চাষি নাজিম উদ্দিনের ক্যাপসিকাম বাগান পরিদর্শন করেছেন। ক্যাপসিকাম চাষের সম্প্রসারণে নাজিম উদ্দিনকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তার মতো আর কেউ এই ফল চাষ করলে তাদেরও একইভাবে সহযোগিতা করা হবে।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ