1. mahbub@krishinews24bd.com : krishinews :
শিরোনাম
আমে ‘ফ্রুট ব্যাগিং’ করবেন যেভাবে সাপাহারে আমচাষীদের ৪৭লক্ষ টাকার ঋণের চেক প্রদান পুঠিয়ায় প্রদর্শনী ভুট্রার ক্ষেত পরিদর্শন করেন কৃষি সচিব বেতাগীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা সম্পন্ন সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে সর্ব বৃহৎ কুল বাগান গড়ে তুলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কানাইঘাটের কৃষিতে আধুনিক ও যুগোপযোগী সংযোজন সমলয় কর্মসূচি পরির্দশনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিলেটের  উপ-পরিচালক প্রাণ এগ্রোর বন্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ: শিবলী আখের দাম পরিশোধে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেলো বিএসএফআইসি ৩০৭ কোটি টাকায় ৬০ হাজার টন টিএসপি ও ইউরিয়া সার কিনবে সরকার রাজবাড়ীতে হালি পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

গুনে ভরপুর কামরাঙা

  • আপডেট টাইম : Sunday, May 24, 2020
  • 780 Views

বর্তমান সময়ে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি-এ ভরপুর ফল-সবজি খাওয়ার কথা বেশি করে বলা হচ্ছে৷ আর আপনারা জানেন কামরাঙার মধ্যে এই ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে৷ তাই খাদ্যতালিকায় কামরাঙা রাখলে তা শরীরের পক্ষে উপকারী৷

বাংলাদেশ,ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই কামরাঙা পাওয়া যায়৷ এটি Starfruit নামেও পরিচিত৷ এই ফল দৈর্ঘ্যে প্রায় ২-৬ ইঞ্চির হয়ে থাকে৷ উপবৃত্তাকার আকৃতির এই ফলে সাধারণত পাঁচটি শিরার মতো ঢাল থাকে৷ পাকা অবস্থায় এটি হলুদ রঙের হয়৷

কামরাঙার উপকারিতা :
অ্যান্টিঅক্সিডেন্স এবং ভিটামিনে পরিপূর্ণ হওয়ায় এটি আমাদের শরীরকে বহু জটিল রোগের হাত থেকেই রক্ষা করে৷ কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এই ফল। এছাড়া, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, দাঁত, মাড়ি, হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে এটি৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও যেমন বৃদ্ধি করে তেমনই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় এবং ব্রণর সমস্যা কমায়।
কামরাঙা গাছ অনেকের বাড়িতেই দেখা যায়৷ এই কামরাঙার চাষ খুব একটা কঠিন বা শ্রমসাধ্য নয়৷ এমনকি বাড়ির ছাদেই (Terrace Farming) এটি ফলানো সম্ভব৷ সারাবছর এবং সব ধরণের মাটিতেই এর চাষ সম্ভব৷ এটি ১২ ইঞ্চির টবেও চাষ করা যেতে পারে, আবার ২০ ইঞ্চির ড্রামেও এর ফলন ভালোই হবে৷ কলমের চারাগাছ রোপনের পর থেকে মাত্র ৬ মাস সময় লাগে কামরাঙা পেতে৷

প্রথমে বেলে-দোআঁশ মাটির সঙ্গে একভাগ গোবর সার, এবং সেই সঙ্গে পটাশ সার মিশিয়ে প্রায় ২ সপ্তাহ ভেজা ভেজা অবস্থায় রাখতে হবে৷ এরপর মাটি ঝুরঝুরে করে নিয়ে তা টবে ভরতে হবে৷ টবের নীচে একটি ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে অতিরিক্ত জল বের হয়ে যায়৷ এরপর ওই মাটি টব বা ড্রামে ভরতি করে চারা গাছটি রোপন করতে হবে এবং তার গোড়ায় মাটি একটি উঁচু করে দিতে হবে যাতে কোনওভাবেই চারাগাছটি নেতিয়ে না পড়ে৷

চারাগাছ রোপনের পর প্রতিদিন প্রয়োজন মতো জল দিতে হবে, তবে কোনওভাবেই তা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায় তা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে৷ মাঝে মাঝে টবের মাটি একটু খুঁচিয়ে দিতে হবে, তবে গাছের গোড়ায় যেন আঘাত না লাগে৷ সেই সঙ্গে আগাছা হলে তা পরিষ্কার করতে হবে দেরি না করে৷ চারাগাছ রোপনের কয়েক মাস পরে সরিষার খৈল পচা জল গাছের গোড়ায় দিতে হবে৷ সেই অর্থে রোগবালাই-এর সমস্যা কামরাঙা গাছে দেখা যায় না৷ তাই পরিশ্রমও কম করতে হয়৷

কামরাঙার ব্যবহার:
পাকা কামরাঙা ভালো করে ধুয়ে কেটে খাওয়া যেতে পারে৷ এর চাটনি করে থাকেন অনেকে৷ অনেকে স্যালাডে ব্যবহার করেন৷ আবার খাবার গার্নিশ করতেও কামরাঙা ব্যবহার করা হয়৷ এছাড়া, কেউ কেউ কামরাঙার রস রূপচর্চার ক্ষেত্রেও কাজে লাগান৷ এই ফলের রস নিয়ে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ পরে জল দিয়ে ধুয়ে দিলে ত্বক পরিষ্কার হয় বলে অনেকের কাছেই এই ফলের গুরুত্ব অনেকখানি৷

নিউজ টি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন...

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2020 krishinews24bd

Site Customized By NewsTech.Com