নিউজ ডেস্ক: ঘুর্নিঝড় আম্পানের কবলে রাজশাহীর চারঘাট-বাঘায় আমসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষ’তি হয়েছে। ঝড়েপড়া সেই আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১টাকা কেজি দরে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত চারঘাট-বাঘায় তা’ণ্ডব চালায় বিরতিহী’নভাবে। এতে চ’রম ক্ষ’তির মুখে পড়েছেন আম সংশ্লিষ্টরা।

আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের দাবি, আমের এ ক্ষ’তি কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব। এ ছাড়া অনেকে আমের চালান ঘরে তোলা দুষ্কর হবে বলে মনে করছেন তারা। এমনই মহামারী করোনায় আম নিয়ে চাষি ও ব্যবসায়ীদের দু’শ্চি’ন্তার শেষ নেই। কারণ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তা’ণ্ডব সব কিছু ল’ণ্ডভ’ণ্ড করে দিয়েছে। আর কযেক দিন পরেই সব ধরনের আম পাড়া শুরু হবে। এরই মাঝে সব কিছু শেষ করে দিল আম্পান। কীভাবে আমে লাগানো পুঁজি ঘরে তুলবেন তা আল্লাহই জানেন। 

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রায়পুর এলাকায় সরেজমিন গেলে সেখানকার আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা এভাবেই তাদের কথাগুলো বলছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, ঝড়ে আমের ব্যা’পক ক্ষ’তি হয়েছে। তবে ঘরবাড়িসহ ফসলের তেমন ক্ষ’তি হয়নি।

কালুহাটি গ্রামের আমচাষী আবুল হোসেন ও আড়ানী এলাকার আমজাদ হোসেন জানান, ঝড়ে আমসহ ভুট্টা ও তিলের ব্যা’পক ক্ষ’তি হয়েছে। যে আম বিক্রি হতো ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে, সেই আম ঝড়ে পড়ে তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১টাকা কেজি দরে। আম কেনার লোকও পাওয়া যাচ্ছে না।

বিষয়টি সম্পর্কে উপপরিচালক রাজশাহী কৃষি কর্মকর্তা শামসুল হক বলেন, আমের ব্যা’পক ক্ষ’তি হয়েছে, যা পুষিয়ে ওঠা কঠিন হবে। তবে দুটি উপজেলায় গড়ে ১২ শতাংশ আমের ক্ষ’তি হয়েছে। এতে প্রায় ২৫-৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধা’রণা করা হচ্ছে। তবে ফসলের তেমন একটা ক্ষ’তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *