চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সূর্যমুখী চাষে সাফল্যচট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সূর্যমুখী চাষে সাফল্য

 

নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সূর্যমুখী চাষে সাফল্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, নাটোর, পাবনা, দিনাজপুর, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলাগুলোতে এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। সূর্যমুখীর চাষ সারা বছর করা যায়। তবে অগ্রহায়ণ মাসে চাষ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম দেওয়ানপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র এলাকায় সড়কের পাশে ১ একরের বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। বাংলাদেশে রান্নায় ব্যবহৃত হয় ছয় ধরনের ভোজ্যতেল। এর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে আছে সূর্যমুখী তেল। বছরে গড়ে ৩৭ শতাংশ হারে বাড়ছে এই তেল আমদানি। দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দামে লাগাম টানতে চলছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ।

আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, এক বিঘা জমি চাষে কৃষকের খরচ হয় ৪-৫ হাজার টাকা। প্রতি শতকে ৪০-৪৫ কেজি বীজ পাওয়া যায়। রোগবালাই রোধে ও পরিপক্ক বীজ পেতে জমিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রয়োগ করতে হয় ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি, জিপসাম, জিংক সালফেট, বরিক এসিড ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার। বারি-৩ জাতের সূর্যমুখী ফুল উচ্চতায় তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট হয়।

আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জামান বলেন, চলতি মৌসুমে ২য় পর্যায়ে বারি-৩ জাতের সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষদিকে রোপণ করা বীজ থেকে ফুল ফোটার পর পরিপক্ক বীজ সংগ্রহ করা যাবে মে মাসে। বপন থেকে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। সূর্যমুখী বীজ সারি করে নির্দিষ্ট দূরত্বে বুনতে হয়। গুণগত মান ও স্বাস্থ্যসম্মত তেল পাওয়ার লক্ষ্যেই সূর্যমুখী চাষ করা হচ্ছে।
সুত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *