নিউজ ডেস্কঃ
আমরা সামনের দিকে এগুতে চাই, সুস্থ-সবল জাতি গড়তে চাই। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। তাই সরকার, বেসরকারি উদ্যোক্তা, উন্নয়ন সহযোগীসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ মাসেই এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় কোভিড মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের নগদ সহায়তা দেয়া শুরু হবে।
আজ ২৩ নভেম্বর ২০২০, “বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ-২০২০” উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন), ডা. শেখ আজিজুর রহমান । সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফ.এ.ও), বাংলাদেশ এ.এম.আর রেসপন্স অ্যালায়েন্স (বিএআরএ) এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।
ডা. শেখ আজিজুর রহমান আরও বলেন, কোভিড মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের নগদ সহায়তা প্রদানে সরকারের এ উদ্যোগ তৃণমূল খামারিদের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে মানুষ ও পশুপাখিতে এন্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস। তাঁরা বলছেন, আর দেরি না করে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার অনিন্দ রহমান এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (প্রশিক্ষণ) ড. পল্লব কুমার দত্ত বলেন, ইতোমধ্যে অনেকগুলো এন্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে গেছে। রিজার্ভড এন্টিবায়োটিকগুলোও সহজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নতুন কোন কার্যকর এন্টিবায়োটিক উদ্ভাবন করা না গেলে সংকট ঘনীভূত হবে। তাই জীবন রক্ষাকারি রিজার্ভড এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
সুত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার