আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় হোসেন ডাইংয়ে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প এর আওতায় মাঠ দিবস ও রিভিউ ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব এ. কে. এম. মনিরুল আলম, পরিচালক, সরেজমিন উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাম মো সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহী।
প্রদর্শনী বাস্তবায়নকরী কৃষক মোঃ দিদারুল ইসলাম সেলিম জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরবরাহকৃত বারি মসুর-৮ জাতের বীজ, সার, বালাইনাশক দিয়ে ৩ বিঘা জমিতে মসুর চাষ করেছেন। এ জাতটি খুব ভালো, স্টেম ফাইলিয়াম রোগ প্রতিরোধী ও আয়রণ, জিংক সমৃদ্ধ। গত বছরও তিনি এ জাতের বীজ উৎপাদন করেছেন এবং উচ্চ মূল্যে বীজ হিসেবে ২০০০০ টাকা লাভ করেছেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন সরকার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষক পর্যায়ে মানসম্মত বীজ উৎপাদন করার।এলক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন কৃষক গ্রপ গঠন ও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি মাঠ দিবসে উপস্থিত কৃষকদের নিরাপদ খাবার উৎপাদন করার পরামর্শ দেন।
এছাড়া সরিষার আবাদ বাড়াতে কৃষকদের আওবান জানান। তিনি বলেন প্রতিবছর ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় সয়াবিন তেল আমদানি করতে। কিন্তু আমরা আমাদের উর্বর জমিতে সরিষা চাষ করতে পারি। তিনি দেশি পেয়াজ আবাদ বাড়ানোর গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, যে কোন খাদ্যদ্রব্য বিদেশী নির্ভরতা কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সার, সেচে ভর্তুকি দিয়েছে।তাই কোন জমি ফেলে রাখা যাবে না। তিনি এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জনে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সচেষ্ট থাকার কথা বলেন।
মাঠ দিবসে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার ড. বিমল কুমার প্রমাণিক, জেলা বীজ প্রত্যায়ন অফিসার ড. পলাশ সরকার, অতিরিক্ত উপপরিচালক শস্য জনাব এ কে এম মঞ্জুরে মাওলা, উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব কানিজ তাসনোভা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সলেহ আকরাম, এসএএওবৃন্দ ও চার শতাধিক কৃষক।।।।