1. mahbub@krishinews24bd.com : krishinews :

জুন পর্যন্ত ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে

  • আপডেট টাইম : Wednesday, December 23, 2020
  • 519 Views
জুন পর্যন্ত ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে
জুন পর্যন্ত ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে

নিউজ ডেস্কঃ
দেশে এ বছর অতিবৃষ্টিতে পাঁচ-ছয় দফা বন্যা হয়েছে। এতে ৩৫ জেলার আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সারা বছরের উৎপাদন ও চাহিদা বিবেচনা করলে দেশে খাদ্য ঘাটতির আপাতত কোনো আশঙ্কা নেই। আগামী জুন পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য চাহিদা পূরণ করেও কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এক মাস ধরে দেশের ১৪টি কৃষি অঞ্চল জরিপ করে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে এমন তথ্য পেয়েছে বলে দাবি করেছে।

উক্ত গবেষণায় বাংলাদেশের ১৪টি কৃষি অঞ্চল হতে সর্বমোট ১ হাজার ৮০০ কৃষকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি ৫৬ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও ১১২ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে ধানের আবাদ ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় সরাসরি এবং টেলিফোন সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ কাজে এই প্রথম উত্পাদন নির্ণয়ের জন্য স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে আমন ধানের আবাদকৃত এলাকার তথ্য বের করা হয়েছে।

ব্রির গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় ১৪টি কৃষি অঞ্চলের মধ্যে এ বছর আমনের ফলন দিনাজপুরে ১১ দশমিক ১ শতাংশ, খুলনায় ৭ দশমিক ১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং যশোরে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে বাকি ১০টি কৃষি অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বিভিন্ন হারে কমেছে। এ বছর প্রতিটি কৃষি অঞ্চলে আমন আবাদের এলাকা গত বছরের তুলনায় কম ছিল। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখা গেছে, এ বছর বন্যার ক্ষয়ক্ষতি বাদে আমন ধানের অর্জিত এলাকা ছিল ৫৭ দমিক ৮৫ লাখ হেক্টর।

এ বছর পাঁচ থেকে ছয় ধাপে মোট ৩৫ জেলা বন্যাকবলিত হয়েছিল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বন্যায় আমন আবাদের মোট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার হেক্টর। বন্যায় আক্রান্তের মাত্রা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যে এলাকা বন্যায় আক্রান্ত হয়নি, সেখানে ধানের ফলন প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কম, মাঝারি ও অতি বন্যাপ্রবণ এলাকায় যথাক্রমে ধানের ফলন দশমিক ৬, ১৩ দশমিক ৪ ও ২৪ দশমিক ১ শতাংশ কম হয়েছে।

ব্রি বলছে, চালের হিসাবে এ বছর আমনের গড় ফলন হবে ২ দশমিক ৩০ টন (প্রতি হেক্টরে)। বিভিন্ন বন্যাপ্রবণ এলাকাভেদে হিসাব করলে দেখা যায়, যে এলাকা বন্যায় আক্রান্ত হয়নি, সেখানে গড় ফলন হয়েছে ২ দশমিক ৬৯ টন, কম বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ২ দশমিক ৪২ টন, মাঝারি বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ২ দশমিক ১৮ টন এবং প্রবল বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ১ দশমিক ৯৪ টন ফলন হয়েছে।

উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত আবাদকৃত এলাকা এবং উপরোক্ত ফলন বিবেচনায় নিয়ে আমন ধান উত্পাদন প্রাক্কলন করলে দেখা যায় যে এ বছর চালের উত্পাদন গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কম হয়েছে। বন্যার পাশাপাশি এ বছর ধান উত্পাদনে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছিল, যার মধ্যে কোভিড-১৯, আম্ফান, অতিবৃষ্টি এবং বিভিন্ন রোগবালাই উল্লেখযোগ্য।

ব্রি জানিয়েছে, চালের হিসাবে এ বছর আউশ, আমন ও বোরো মিলিয়ে মোট চাল উৎপাদন হবে ৩৭ দশমিক ৪২ মিলিয়ন টন। চাহিদা ও জোগানের অবস্থা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিসেম্বর ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ চালের চাহিদা মিটিয়ে ব্রির হিসাবে কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে।

সুত্রঃ ইত্তেফাক

নিউজ টি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন...

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2020 krishinews24bd

Site Customized By NewsTech.Com