নিউজ ডেস্কঃ
চতুর্থ দফার বন্যার রেশ না কাটতেই টাঙ্গাইলে আঘাত হেনেছে পঞ্চম দফা বন্যা। আর এ বন্যায় টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, নাগরপুর, দেলদুয়ার ও কালিহাতী উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গেলো দুই দিনে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পানির নিচে রয়েছে আউস, আমন, সবজি, আখ ও কলা। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, চলতি বন্যায় টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, নাগরপুর, দেলদুয়ার ও কালিহাতী উপজেলার ৮০ হাজার কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এসব কৃষকের এক হাজার ৭ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, তিন হাজার ২৬৭ হেক্টর জমির বোনা আমন, ৭১৯ হেক্টর জমির আউস, এক হাজার ৩৯২ হেক্টর জমির সবজি, ১৮৫ হেক্টর জমির কলা বাগান, ৪৯ হেক্টর জমির লেবু ও ৪৯ হেক্টর জমির আখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে ৬৭ কোটি টাকা। এতে করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। কয়েক দফা বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে চরা দামে চারা ক্রয় করে যে রোপা আমন লাগিয়েছিলেন তা এখন পানির নিচে।
কালিহাতী উপজেলার সরাতৈল গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, ধারদেনা করে চরা দামে চারা কিনে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে তিন বিঘা জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছিলাম। সব চারা এখন পানির নিচে। এখন আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবো না।
ভূঞাপুর উপজেলার কালিপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান বলেন, চরে আউস ও বোনা আমনসহ ৫০ বিঘা জমিতে ফসল লাগিয়েছিলাম। সব ফসল এখন পানির নিচে। সরকারি সহযোগিতা না পেলে কোনও উপায় থাকবে না।
শুধু আক্কাস আর সোবহান নয় তাদের মতো হাজার হাজার কৃষকের স্বপ্ন এখন পানির নিচে। সবাই তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি সহযোগিতার আশায়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কৃষি অফিসার জিয়াউর রহমান জানান, শেষ সময়ের বন্যায় টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, নাগরপুর, দেলদুয়ার ও কালিহাতী উপজেলার কৃষকদের পথে বসিয়ে দিয়েছে। কৃষি-বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
সুত্রঃ আর টি ভি