গৌতম চন্দ্র বর্মন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
মানুষ দেখলে জানাজানি হবে এই ভেবে ভোর রাতেই রাস্তার ধারের ২৫-৩০টি ইউক্যালিপ্টাস সরকারি গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে রমনীকান্ত (৪৩) নামে এক ব্যক্তি। তার দাবি তিনি চেয়ারম্যানকে জানিয়ে গাছ কেটেছেন। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা কাটা গাছের ছবি ও ভিডিও ধারণকালে বেড়িয়ে আসে গাছকাটার আসল রহস্য। ঘটনাটি ঘটেছে ২১ জুলাই সোমবার ভোর রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়নের ছুট খড়িবাড়ী নামক এলাকায়।সরকারি গাছ কর্তকারি রমনীকান্ত ওই এলাকার মৃত-বীরেন্দ্র নাথ বর্মন ওরফের ভোলার ছেলে।সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় কর্তন করা গাছের গোড়া ঘাস-পাতা দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আর গাছের ডাল-পালা রাখা হয়েছে কর্তনকারির বাসার আঙিনায়। পরে খোঁজ করে জানা যায় গাছগুলো স্থানীয় ইউসুফ আলীর মিলে বিক্রয়ের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে সেই স-মিলে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়।এ ব্যাপারে গাছ কর্তনকারি রমনীকান্তের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এগুলো মুলগাছ নয়, গাছ থেকে বের হওয়া শিকড় জাতীয়, তাছাড়া গাছগুলি আমরাই লাগিয়েছি-তাই কাটা।রাস্তার গাছ কাটাতে কোন অনুমতি নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে গাছগুলি কাটা হয়েছে। তবে ভোরবেলা কেন গাছ কেটেছেন এর উত্তর দিতে পারেন নি তিনি।
এ বিষয়ে জানতে ঢোলারহাট ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রমনীকান্ত সমস্যার কথা জানিয়ে তাদের লাগানো রাস্তার ধারের দুই-তিনটি গাছ কাটতে চাইলে তাদের কাটতে বলা হয়েছে, তবে তিনি কতগুলো গাছ কেটেছেন তা তার জানা নেই।এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঢোলারহাট ইউনিয়নে অবৈধভাবে রাস্তার গাছ কাটার বিষয়ে আমার জানা নেই। অনুমতি ছাড়া কেউ রাস্তার সরকারি গাছ কাটাতে পারবে না। যদি কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।