মনীষা পাল স্বর্না
থাই লেবুর বৈশিষ্ট্যঃ
* কাঁটা ও বীজ বিহীন এই লেবু সারা বছর ধরে;
* থোকায় থোকায় ধরে ;
* বাজারে চাহিদা ও মুল্য ভাল ;
* মাঝারী গোল আকৃতির ;
* প্রচুর রস ও সুন্দর ঘ্রান ;
* সারা বছর গাছে লেবু থাকে;
প্রমান হিসেবে মাদার গাছে কিছু ছবি দেয়া হল, যাতে কিছু ডালে ফুল, আবার কিছু ডালে ছোট লেবু ও কিছু ডালে বড় লেবু আছে ।
এক বছর ৬ মাস হয়েছে চারা রোপন এর ।
৬ মাস বয়সী চারা রোপন করা হয়েছিল।
লেবু চাষ পদ্ধতিঃ
চাষের উপযোগী পরিবেশ ও মাটিঃ
মার্চ অক্টোবর মাসে লেবুর চারা রোপণ করতে হবে। প্রায় সব ধরণের মাটিতে লেবুর চাষ করা যায়। কিন্তু অম্ল যুক্ত দো-আঁশ মাটি বেশি উযোগী। এ মাটিতে লেবু উৎপাদন ভাল হয়।
চারা উৎপাদনঃ
লেবুর চারা বীজ হতে উৎপন্ন হয়। এছাড়াও কলম থেকে চারা উৎপাদন করেও চাষাবাদ করা যায়।
চারা রোপণ পদ্ধতিঃ
১. গুটি কলম ও কাটিং তৈরি করে মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত লেবুর চারা রোপণ করা হয়।
২. চারা রোপণের সময় একটা চারা হতে আর একটা চারার দূরত্ব কম পক্ষে ৫ মিটার হতে হবে।
৩. ৮-১০ মাসের চারা রোপণ করলে ভাল হয়।
সার প্রয়োগঃ
ভালো ফলন পেতে হলে জৈব সারের বিকল্প নেই বললেই চলে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুযায়ী সার দেওয়া উচিত। জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকে।এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে।
সেচঃ
শুকনা মৌসুমে ২-৩ বার সেচ দিতে হবে। এবং বর্ষার সময় গাছের গোড়ায় পানি জমতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
রোগবালাইঃ
১. প্রধান প্রধান শেকড়ের মধ্যে লেবুর পোকা ও ফলমাছি কাঁচা ফল থেকে রস শুষে নেয়।
২. ফলমাছি ফলের ভেতরের অংশ ক্ষতি করে।
প্রতিকারঃ
এসব পোকা দমনে বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক পাওয়া যায়। এতে যদি পোকা দমন না হয় তাহলে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সাথে বা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
চাষের সময় পরিচর্যাঃ
১. আরেকটি গাছের দূরত্ব ২০-২৫ ইঞ্চি হতে হবে।
২. শক্ত মাটি গাছের চারদিকে সরিয়ে দিতে হবে।
৩. অতিরিক্ত এবং শুষ্ক ডাল ছাঁটাই করতে হবে।
৪. নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
ফল সংগ্রহঃ
একটা পূর্ণ বয়স্ক লেবু গাছ থেকে বছরে কম পক্ষে ৩০০-৫০০টি লেবু পাওয়া যেতে পারে। লেবু পুষ্ট হলে লেবু গায়ে তেলতেলে ভাব দেখা দেয়। ফল কিছুটা হালকা হলুদ রঙ ধারণ করলে সংগ্রহ করতে হয়।
সুত্রঃ চাষাবাদ.কম