নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের মৌচাষী মো.সহিদুল ইসলামের মৌ বাক্সে হঠাৎ ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি মারা যেতে থাকে। তিনি বুঝতে পারছিলেন না, কি কারনে তার পোষা মৌমাছিগুলো মারা যাচ্ছে। এসময় তিনি শরণাপন্ন হন দূর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ মশিউর রহমানের। এ ব্যাপারে তিনি মৌচাষীকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা যোগাযোগ করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর সাখাওয়াত হোসেন মামুন এর সাথে। প্রফেসর ড. শাখাওয়াত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে মৌমাছির গুলো পরীক্ষা করে দেখেন। তিনি পরীক্ষা করে জানান, শাকসবজিতে যেসব কীটনাশক স্প্রে করা হয়, সেসব কীটনাশক যুক্ত পানি খাবার কারণে মৌমাছিগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে মারা যাচ্ছে। মূলত কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় এই অপমৃত্যু। তিনি এ ব্যাপারে বলেন, মৌমাছি গুলোকে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে এবং মৌ বাক্স গুলো দ্রুত সম্ভব অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে । এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মৌচাষী সহিদুল ইসলাম ৬/৭ বছর থেকে মৌ চাষ করেন আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। গত বছর থেকে বিভিন্ন প্রদর্শনী খেতে তিনি মৌ বাক্স বসান, তাতে তিনি পর্যাপ্ত পরিমাণ মধু আহরণ করতে পারেন এবং কৃষকের ২০ % পর্যন্ত ফলন বেশি হয় গত তিনদিন আগে হঠাৎ করে তিনি আমাকে জানান তাঁর মৌমাছিগুলো মারা যাচ্ছে । আমি দ্রুততার সঙ্গে আমি সম্মানিত স্যার অধ্যাপক ড. শাখাওয়াত মামুন স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি গঠনমূলক কিছু পরামর্শ দিয়েছেন আশা করি কৃষক তাতে উপকৃত হবেন। আমরাও চেষ্টা করব কৃষক যতোটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে তাকে সহযোগিতা করার।