দেশে তৈল বীজ উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীরদেশে তৈল বীজ উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেলের প্রয়োজনীয় আমদানি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি দেশে তৈল বীজ উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একইসঙ্গে ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা বাংলাদেশ কীভাবে কমাতে পারে, সে বিষয়ে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেছেন, গবেষণার জন্য অর্থের অভাব হবে না।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনেতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বীজ বর্ধন খামার স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার সময় আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা।

বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের এখন তৈল বীজ ও বাদাম উৎপাদন বাড়ানো উচিত। ভোজ্যতেলে আমদানিনির্ভরতা বেশি। এ নির্ভরতা কিছুটা হলেও কমানো উচিত। বর্তমানে যে পরিমাণ আমদানি চাহিদা রয়েছে প্রয়োজনীয় আমদানি অব্যাহত রাখতে হবে।“

 

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এ জন্য গবেষণা করার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, গবেষণার জন্য অর্থের অভাব হবে না।”

বৈঠকে রেল বিভাগের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী রেল বিভাগের নিয়োগের ক্ষেত্রে রেলের বর্তমান কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কোটা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান এম এ মান্নান।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনা আরও স্পষ্ট করে প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা একটা বিশেষায়িত ধরনের কাজ। ওই পারিবারিক পরিবেশে যারা বড় হয়েছে তারাই এ কাজের জন্য অগ্রাধিকার পাবে।”

এসময় আবার মান্নান বলেন, রেলের নীচু পর্যায়ে যারা কাজ করেন তাদের সন্তানরা সেই কাজ প্রতিনিয়ত পাবিারিক আবহ থেকেই দেখে আসছেন। যেমন- রেলে কয়লা কিভাবে দেয়, রেলের কোথায় কী পরিষ্কার করতে হয়- এগুলো তাদের বাচ্চারা পারিবারিকভাবেই শিখে নেয়। তাই তাদের জন্য কোটা অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

রেল বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের রেলে অগ্রাধিকারভিত্তিতে চাকরির জন্য ৪০-৫০ শতাংশ কোটা রয়েছে। তবে প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণিতে এ সুযোগ বা কোটার প্রচলিত নেই বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, যেকোনও সেতুর নিচ দিয়ে স্বাভাবিক নৌ-চলাচল করার মতো উঁচু করে সেতু তৈরির নির্দেশনাও বৈঠকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “এরকম একটি সেতুও যদি পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।“

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মো. মামুন-আল-রশিদ এবং কৃষি পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য শরীফা খানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সুত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *