দেহ অভ্যন্তরের যেকোনো রোগজীবাণু মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে মেথিদেহ অভ্যন্তরের যেকোনো রোগজীবাণু মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে মেথি

নিউজ ডেস্কঃ

আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে মেথিকে সুপার ফুড বলে। কারণ দেহ অভ্যন্তরের যেকোনো রোগজীবাণু মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে মেথি। মেথিতে রয়েছে রক্তে চিনির মাত্রা কমানোর এবং তারুণ্য ধরে রাখার বিস্ময়কর শক্তি। যারা নিয়মিত মেথি খান, তাদের বুড়িয়ে যাওয়ার গতিটা ধীর লয়ে ঘটে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করলে শরীরের অধিকাংশ রোগজীবাণু মরে যায়। বিশেষ করে শিশুদের পেটের কৃমি মেরে ফেলতে এই নিয়মে মেথি খাওয়াতে পারেন। মেথি খেলে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়। ডায়াবেটিস ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় মেথি খেতে পারেন। রক্তে চিনির মাত্রা কমানোর অসাধারণ এক শক্তি থাকায় ডায়াবেটিস রোগের জন্য খুব ভালো একটি পথ্য এই মেথি।

মেথিতে আছে প্রাকৃতিক তন্তু, যা ওজন কমাতে বেশ কার্যকর। দিনে দুই-তিনবার মেথি বা মেথির গুঁড়ো খেলে ক্ষুধা কম লাগে, যা দেহের ওজন কমাতে সহায়ক। নিয়মিত মেথি খেলে সর্দিকাশি থাকে না। লেবু ও মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ মেথির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে জ্বর সেরে যায়। মেথিতে মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান আছে, যা গলাব্যথা সারাতে সহায়ক। অল্প পানিতে মেথি সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার সংক্রমণ দূর হয়।

চুল পড়া ও চুল পাকা ঠেকাতে মেথি খেতে পারেন। মেথি সেদ্ধ করে বেঁটে তার সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে মাথায় মাখলে চুল পড়া ও চুল পাকা কমে যায়। অন্ত্রের নড়াচড়া বৃদ্ধি করে মেথি। যাদের পেট জ্বালা বা হজমে সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত মেথি খেতে পারেন। এতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান দূর করে দেয়। এমনকি পেপটিক আলসার সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে মেথি। নিয়মিত মেথি খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। মেথি আয়রনসমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তস্বল্পতা, অর্থাৎ অ্যানিমিয়া রোগের পথ্য হিসেবেও কাজ করে। মাতৃদুগ্ধ বাড়াতে ওষুধের বিকল্প হলো মেথি। সদ্য মা হওয়া নারীর জন্য মেথি খুবই উপকারী। ব্রেস্ট ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য মেথি কার্যকর। ইন্টারনেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *