জেলায় চলতি আমন ধান চাল সংগহ অভিযান শুরু হয়েছে। ১০ হাজার ২৪৩ টন ধান এবং ২৩ হাজার ৩০০ টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে।
তবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন- চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানিয়েছেন, ধান প্রতি কেজি ২৭ টাকা মূল্যে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে এবং চাল প্রতি কেজি ৪০ টাকা সরকার নির্ধারিত মূল্যে তালিকাভুক্ত মিলারদের থেকে ক্রয় করা হচ্ছে।
জেলার ১১টি উপজেলা থেকে উপজেলাভিত্তিক ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে- সদর উপজেলায় ৫১৬ টন, রানীনগর উপজেলায় ৯৬৯ টন, আত্রাই উপজেলায় ৩৪৮ টন, বদলগাছি উপজেলায় ৭৪৪ টন, মহাদেবপুর উপজেলায় ১৫০১ টন, পতœীতলা উপজেলায় ১৪১৪ টন, ধামইরহাট উপজেলায় ১০৫৬ টন, সাপহার উপজেলায় ৫০৯ টন্, পোরশা উপজেলায় ৮০৮ টন, মান্দা উপজেলায় ৮২৪ টন এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ১৫৫৪ টন।
সূত্র মতে, জেলায় মোট ১৯টি খাদ্য গুদামে ধান চাল সংরক্ষণের ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার ২৫০ টন। বর্তমানে ২০ হাজার টন খাদ্য এসব গুদামে সংরক্ষিত রয়েছে। রে মধ্যে সরকারি ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ভিজিডি ইত্যাদি কর্মসূচিতে সেব গুদাম থেকে খাদ্য বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। কাজেই সরকারিভাবে ক্রয়কৃত ধান চাল সংরক্ষণের স্থান সংকুলান নিয়ে কোন অসুবিধা নাই। ধারন ক্ষমতার বাইরে সংগৃহিত হলে সেগুলো দেশের অন্য জেলার গুদামে স্থানান্তর করা হয়ে হবে বলেও সূত্র নিশ্চিত করেছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে- চলতি আমন মওসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে যা থেকে ৫ লক্ষ ৯৩ হাজার হাজার টনেরও বেশী চাল উৎপাদিত হবে।
সুত্রঃ বাসস