নিউজ ডেস্কঃ
কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারো কোরবানির পশু মোটাতাজা করেছেন নরসিংদীর কৃষক ও খামারিরা। হরমোন ইনজেকশন এবং রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে এসব পশু মোটাতাজা করছেন বলে বলে জানিয়েছেন খামারিরা।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সীমান্ত দিয়ে দেশের বাইরের পশু আমদানি বন্ধ থাকায় ঈদের হাটে এসব পশু বিক্রি করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন খামারিরা। তবে গো-খাদ্যের দাম কিছুটা বেশি থাকার কারণে কোরবানির জন্য এসব পশু লালন-পালন খরচ বেড়েছে আগের থেকে বেশি বলে জানান তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যমতে জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদার বিপরীতে বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন খামারিদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারো গরু-মহিষসহ কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় পশুর যত্মে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও গরুর খামারিরা। অনেকে ৬ মাস থেকে ১ বছর আগে দেশের বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে গরু, মহিষ ও ছাগল কিনে লালন-পালন করতে থাকেন। খামারিদের পাশাপাশি লাভের আশায় পারিবারিকভাবেও অনেক কৃষক পশু মোটাতাজা করে থাকেন। বিশেষ করে গরু মোটাতাজা করা হয়েছে দেশীয় খাবার খৈল, কুড়া, চালের খুদ, ছোলা, সয়াবিন, ভুসি, কাঁচা ঘাস ও খড় খাইয়ে। মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক ও পশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কোনো ওষুধ তারা গরুকে খাওয়ানো হয়নি। কারণ তাতে গরুর জন্য মৃত্যু ঝুঁকি বেশি থাকে। যে কোনো মুহূর্তে গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ফলে লাভের চেয়ে লোকসানের আশঙ্কা থাকে। তবে গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে পশুর লালন পালন খরচ বেড়েছে বলে জানান খামারিরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যমতে আরো জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে নরসিংদী জেলার ৬ উপজেলায় ছোট বড় ৬ হাজার ৭ শত ৬২ জন খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজা করেছেন। এরমধ্যে ষাড় ৩১ হাজার ৪শত ৭টি, বলদ ৯ হাজার ৮শত ৫০টি, গাভি ৫ হাজার ৪শত ৯২টি, মহিষ ১ হাজার ৫শত ১৮টি, ছাগল ৯ হাজার ৬শত ৫১টি ও ভেড়া ২ হাজার ৯শত ১৮টি।
এর বাইরেও পারিবারিকভাবে আনুমানিক ১০-১২ হাজার কৃষক ১ থেকে ২টি করে কোরবানির পশু বিশেষ করে গরু ছাগল মোটাতাজা করেছেন।
নরসিংদী জেলার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন পশুর হাটে সরবরাহ করা হবে এসব পশু। দেশীয় খাবার খাওয়ানো ও ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ না করায় কোরবানির পশুর হাটে এসব গরুর চাহিদা থাকে বেশি। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে লকডাউন ও সরকারের কঠোর নির্দেশনার কারণে সীমান্ত দিয়ে দেশের বাইরের পশু আমদানি এখন পর্যন্ত বন্ধ থাকায় এবার পশু বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন খামারিরা।
সুত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ