ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ২৫ জুলাই একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ‘দ্য টিচার’ নামে একটি নাটক প্রচারিত হয়। নাটকটি নজরে আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানায় কৃষিবিদ সমাজসহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদের অংশ হিসেবে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) নাটকটি সম্পূর্ণ সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানায়।
মাবরুর রশিদ বান্নাহ পরিচালিত প্রায় ৪৭ মিনিটের এ নাটকটির ১৬ মিনিটের এক পর্যায়ে হাতের রগ কেটে চিঠি লেখার কথা আসলে প্রতিউত্তরে একটি সংলাপ আসে ‘তুই একটা এগ্রিকালচার’। নাটকটি দেখার পর ২৮ জুলাই থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন কৃষিবিদগণসহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, তারা ইউটিউবে নাটকটি রিপোর্ট করেছেন। তাদের প্রতিবাদের জেরে অবশেষে কৃষি নিয়ে আপত্তিকর এ সংলাপটি মূল নাটক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিবাদকারীরা শুধু সংলাপটি নয় পুরো নাটকটিকে মুছে ফেলতে দাবি তুলেছেন।
কৃষিবিদদের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম কেআইবি বৃহস্পতিবার এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবাদ লিপি দিয়েছে। কেআইবি’র দপ্তর সম্পাদক কৃষিবিদ এম এম মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ প্রতিবাদ লিপিতে তারা বলেন, নাটকটির একটি দৃশ্যে অভিনয় শিল্পী ইফতেখার রাফসানের একটি ডায়লগে ‘এগ্রিকালচার’ শব্দটি গালি/ব্যঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করেন যা কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের কৃষি এখন রোল মডেল। বর্তমানে আমরা শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করিনি, খাদ্য রপ্তানীকৃত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষি যেখানে অদম্য সফলতা পাচ্ছে সেখানে এরকম একটি ডায়লগ কুরুচির পরিচায়ক। প্রতিবাদে কৃষিকে হেয় প্রতিপন্ন করা এ নাটকটি সরিয়ে ফেলে নিম্ন মানসিকতা ও আপত্তিকর ডায়লগের জন্য নাটকটির নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে কেআইবি।
সুত্রঃ বিডি-প্রতিদিন