গত তিন দিনের ব্যবধানে নাটোরে কন্দ জাতের নতুন পিয়াজের দাম ৫-৭ টাকা বেড়ে ২২-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান দামে উৎপাদন খরচ উঠলেও লাভবান হতে পারছেন না বলে দাবি কৃষকের। পিয়াজের উৎপাদন বাড়াতে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি তাদের।
জেলার বৃহত্তম পিয়াজের হাট নলডাঙ্গায় পিয়াজ নিয়ে হাজির জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। দুই সপ্তাহ ধরে নাটোরের বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ ১৫-১৮ টাকায় বিক্রি হলেও তিন দিন ধরে বিক্রি হচ্ছে ২২-২৫ টাকায়।
অতিরিক্ত দামে কন্দ জাতের পিয়াজের বীজ কেনাসহ খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি কেজি নতুন পিয়াজ উৎপাদনে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ টাকা। বর্তমান দামে উৎপাদন খরচ উঠলেও লাভের মুখ দেখছেন না কৃষক। এ অবস্থায় চলমান চারা জাতের পিয়াজের উৎপাদন বাড়াতে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণের দাবি কৃষকদের।
তারা জানান, বাজারে যে হারে পিয়াজ বেচাকেনা হচ্ছে, তাতে তাদের কোনো লাভ হচ্ছে না। শুধু উৎপাদন খরচই উঠে আসছে। আরেকজন পিয়াজ বিক্রেতা বলেন, ‘পিয়াজ উৎপাদনে ৯০০-৯৫০ টাকা খরচ হয়েছে। তবে বিক্রি করতে হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে। তাহলে আমাদের লাভ হবে কী করে?’
রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি আড়তদারদের। এ বিষয়ে আড়তদাররা বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা বেশি আসায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি হলেও ভবিষ্যতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি জুড়ে নাটোর জেলায় চলবে চারা জাতের পিয়াজ রোপণ। এবার স্থানীয় কৃষি বিভাগ ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পিয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন