নিউজ ডেস্ক
নিবন্ধন ছাড়া লবণ আমদানি ও লবণের ব্যবসা করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বুধবার (৭ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এ আইনের মধ্যে ১৩টি অধ্যায় এবং ৫১টি ধারা আছে। এর মূল বিষয়গুলো হলো- একটি জাতীয় লবণ কমিটি হবে এবং তারা লবণের উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুত, বিক্রয়, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, লবণ কারখানার জন্য আয়োডিন সরবরাহ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা নীতির বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাতীয় লবণ কমিটির সভাপতি হবেন। সদস্য সচিব হবেন বিসিক চেয়ারম্যান। ১৪ জনের একটি কমিটি হবে। জাতীয় লবণ কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেল থাকবে। তারা এটাতে মনিটর করবে। জাতীয় মানমাত্রা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ থেকে ৫০ পিপিএম এবং খুচরা পর্যায়ে ২০ থেকে ৫০ পিপিএম মাত্রার আয়োডিন থাকতে হবে।’
সরকার জাতীয় লবণ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লবণ পরিশোধানাগার আয়োডিনযুক্তকারী কারখানার জন্য আয়োডিনের সরবরাহ নিশ্চিত করবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিসিক লবণের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উৎপাদনে বিজ্ঞাপনভিত্তিক কৌশল প্রয়োগ নিরাপদ উৎপাদন পরিশোধন ও অন্যান্য বিষয়ে লবণ উৎপাদনকারী ও পরিশোধনকারীদের প্রয়োজনীয় স্কিল ডেভলপমেন্টর ব্যবস্থা করবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি কোনো প্রকার লবণ আমদানি, লবণ উৎপাদন ও গুদামজাত ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন বা আয়োডিনযুক্ত কারখানা স্থাপন বা অন্য কোনো লবণ কারখানা স্থাপন ও পরিচালনা করতে চাইলে তাকে এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে। সরকার প্রয়োজনে লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট করতে পারবে। লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে জোনটাতে লবণ সহজে উৎপাদন করা যায় সেখানে শিল্পাঞ্চল করার ধারা এ আইনে দেয়া আছে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নিবন্ধন ছাড়া কেউ লবণ আমদানি, গুদামজাত, ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন বা আয়োডিনযুক্ত কারখানা পরিচালনা করে বা এর গুণগত মান নিশ্চিত না হয়, তাহলে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হবে বা অর্থ দণ্ডের বিষয়টি খসড়া আইনে করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে একসঙ্গে। এটি মোবাইল কোর্ট আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
সুত্রঃ জাগো নিউজ