নিম্নমুখী মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের বাজারনিম্নমুখী মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের বাজার

নিউজ ডেস্ক
মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের বাজারে বড় ধস নেমেছে। প্রায় এক মাসের মধ্যে সর্বশেষ গত সোমবার দেশটিতে ভোজ্যতেলটির ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য প্রায় ৩ শতাংশ পড়েছে। অন্যদিকে এ সময়ে পাম অয়েলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ডালিয়ান ও সিবিওটিতে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। মূলত প্রত্যাশার তুলনায় চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ভোজ্যতেলটির রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পাম অয়েলের তুলনায় দাম কিছুটা বেড়েছে। খবর রয়টার্স।

বেঞ্চমার্ক বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে গত সোমবার জানুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েল ৯৪ রিঙ্গিত বা ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ কমে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৭৭৬ রিঙ্গিতে (স্থানীয় মুদ্রা)। এটি গত ২৪ সেপ্টেম্বরের পর সবচেয়ে বড় পতন।

মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে গতকাল পর্যন্ত দেশটি থেকে পাম অয়েলের জাহাজীকরণ ৪-৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে এটি যে পরিমাণ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হয়েছিল তার চেয়েও কম। ফলে ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বেঞ্চমার্কে এটি বিক্রির ওপর কোনো চাপ ফেলতে পারেনি।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক বাজার বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান পাম অয়েল অ্যানালিটিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা সিথিয়া ভরকার মতে, বৈশ্বিক মহামারীর কারণে কোনো পণ্যের বাজারেই আসলে চাহিদা তেমন বাড়ছে না। ফলে পাম অয়েলের বাজারও চাঙ্গা হওয়ার তেমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশ মালয়েশিয়া। আর ভারতের পর দেশটির পাম অয়েলের অন্যতম গন্তব্য ইউরোপের দেশগুলো। কিন্তু করনোভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এরই মধ্যে ইউরোপের দেশগুলো নতুন করে লকডাউনে ফিরছে। ফলে ভোজ্যতেল হিসেবে পাম অয়েলের রফতানি ও চাহিদা কমতে শুরু করেছে, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশটির পাম অয়েলের বাজারে। এছাড়া আগামীতে রফতানি যদি আরো কমে আসে তাহলে উদ্বৃত্ত পাম অয়েলের ফলে বাজার আরো বেশি নিম্নমুখী হতে পারে। সেটি হলে ব্যবসায়ীরা তখন পাম অয়েলের পরিবর্তে অন্য পণ্যে বিনিয়োগ করবেন বলে মনে করেন সিথিয়া ভরকা।
সুত্রঃ বনিক বার্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *