নিউজ ডেস্কঃ
পটুয়াখালীর উপকূলবর্তী লবণাক্ত জমিতে গম চাষে সাফল্য এসেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের সোনাতলা নদীর পাড়ে লবণাক্ত জমিতে গম চাষে সফলতা পেয়েছেন। এর ফলে এলাকার হাজার হাজার একর পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে।
জানা যায়, দীর্ঘ চার বছর লবণাক্ত জমিতে গবেষণার পরে এমনটাই জানিয়েছেন গবেষণায় সংশ্লিষ্টরা। খাদ্য ঘাটতির সাগর পাড়ের এলাকা পরিণত হবে খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা হিসেবে।
গম চাষি কালাম খান বলেন, এ বছর সাড়ে সাত বিঘা পরিত্যক্ত জমিতে গম চাষ করেন। ধান চাষ করতে যে পরিমাণ খরচ হয় গম চাষে খরচ হয় তার অর্ধেক। তার এ গম চাষ দেখে একই গ্রামের আবুল বাশার ফরাজী দুই বিঘা জমিতে গম চাষ করেন। এ ছাড়া গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার, রহিম ভূঁইয়াসহ আরো অনেক কৃষক তাদের পরিত্যক্ত জমিতে গমে চাষ করেছেন।
লবণাক্ত জমিতে গম চাষ মাঠ প্রদর্শনী সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি প্রজেক্ট লিডার ড. এম. জি নিয়োগী, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোস্তফা খান ও কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল মান্নান।
সুত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার