নিউজ ডেস্কঃ
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি হাসাইলে পদ্মায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাস। ৪ নভেম্বর ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় জেলেদের মাছ ধরার মহোৎসব।
নদীতে ইলিশ তেমন না পেলেও পাঙ্গাস পেয়েই খুশি জেলেরা। প্রায় সব জেলেই নদী থেকে দু-চারটি পাঙ্গাস নিয়ে ফেরেন। এসব মাছের আকারও বেশ বড়।
শনিবার ভোরে জেলার লৌহজং পদ্মাপাড়ে দেখা যায়, কোনো কোনো জেলের জালে ২৫-৩০টি পাঙ্গাস ধরা পড়েছে। নদীতে নেমে অন্তত দু-চারটি পাঙ্গাস পাননি এমন জেলেকে পাওয়া যায়নি।
জালে আটকা পড়া প্রতিটি পাঙ্গাসের ওজন প্রায় সাত-আট কেজি। জেলেরা পাঁচ কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাসের দাম হেঁকেছেন প্রায় চার হাজার টাকা। গড়ে ৭০০ টাকা কেজি দরে লৌহজংয়ের বাজারগুলোতে কেটে বিক্রি করছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। যাদের গোটা মাছ কেনার সামর্থ্য নেই, তারা কয়েকজন মিলে ভাগে কিনছেন।
সিংহেরহাটি গ্রামের পদ্মাপাড়ের জেলে জয়নাল দেওয়ান, সালাম মাদবর, ইব্রাহিম ও ইসলাম শেখরা জানান, কেউ কেউ গত এক সপ্তাহে ১৫-৩০টি পর্যন্ত পাঙ্গাস মাছ ধরেছেন। এ বছর ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা অভিযান কড়াকড়ি হওয়ায় জেলেরা নদীতে নামতে পারেননি। ফলে এ সময় নদীতে নেমে পাঙ্গাস শিকার করতে পেরে জেলেরা কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন।
সামনের জোয়ারের মৌসুম থেকে জৈষ্ঠ মাস মাস পর্যন্ত জেলেরা এমন পাঙ্গাস পেলে ক্ষতি পুষিয়ে যাবে বলেও জানান জেলেরা।
লৌহজং উপজেলার কনকসার বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রবীন্দ্র মালো বড় আকারের মাছ কাটায় বেশ পারদর্শী। এ বাজার কিংবা পাশের এলাকায় কেউ বড় মাছ কিনে আনলেই তার ডাক পড়ে। তিনি দুদিনে অন্তত ৫০টি পাঙ্গাস কেটে দিয়েছেন বলে জানান। আকার ভেদে একেকটি মাছ কাটতে তিনি ২০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন।
সূত্র :ডেইলি বাংলাদেশ